শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সারাদেশে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন/ আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুমিল্লায় বাড়তি আবহ শিশু কিশোরদের পোশাকে
কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন
ঈদ সামনে রেখে কুমিল্লা নগরীর মার্কেটের রেডিমেইড পোষাক বিক্রির দোকানগুলোতে শিশু, কিশোরদের পোষাকের রঙে-ঢংয়ে ও দেশি-বিদেশি ব্য্যান্ডের জমজমাট আয়োজনে বাড়তি আবহ সৃষ্টি হয়েছে। দশ রোজার পথ থেকেই শিশু কিশোরদের ঈদের পোষাক কেনাকাটায় অভিভাবকদের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। মার্কেটে ক্রেতাদের বড় অংশই এখন শিশু কিশোরদের পোষাকের দোকানে ভিড় করছে।
শিশু-কিরেশারদের পোষাকের নজরকাড়া কালেকশনগুলো রোজার শুরু থেকেই ক্রেতাদের বিপুলভাবে আকর্ষিত করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে নগরীর বড় শপিংমল ও সাধারণ মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটায় শিশু কিশোরদের পোষাক বিক্রিতে ধূম পড়েছে। দোকানগুলোতে দেশি পোষাকের চেয়ে ভারতের বম্বে, থাইল্যান্ড, ব্যাংকক ও চীনের পোষাকের পোষাকের আধিক্যতা রয়েছে। এবারের ঈদে শিশু কিশোরদের পোষাকে আরাম ও গর্জিয়াস লুক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শিশুদের পোষাকে জীবজন্তু, পাখি, কার্টুন বিভিন্নভাবে উঠে এসেছে। আবার নকশায় এমব্রয়ডারিও রয়েছে। কিশোরদের পোষাকের মধ্যে পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্টে বৈচিত্র আনা হয়েছে। কন্যাশিশু ও কিশোরীদের প্রিন্টের পোষাকে সিম্পল লেইস কিংবা নেট জুড়ে দিয়েও নকশা করা হয়েছে। আবার পাতলা কাপড়ের লেয়ার, কুচি, এলোমেলো কাটে জমকালো ভাব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া একরঙা পোষাকে ষ্টোন, মুক্তারমালা, চেইন দিয়ে নকশা করা হয়েছে। এবারে কন্যাশিশু ও কিশোরীদের জন্য ভারত, থাইল্যান্ড ও ব্যাংককের ফ্যাশন ব্রান্ড ক্যারট, অর্চনা, মাহেক ও পিটির পোষাকের চাহিদা রয়েছে। দেশি ফ্যাশনের সোনিয়া, তারিক, কেবিএস, আলমস্, নিলয়, ফাস্টার, ফেয়ার লেডিসহ বেশকিছু পোষাক এবারের ঈদ বাজারে বিদেশি পোষাকের সাথে পাল্লা দিয়েছে। দেশিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে আড়ং, রঙ বাংলাদেশ, সাদাকালো, ফড়িংসহ বেশকটি ব্যান্ড শিশু কিশোরদের পোষাকে বৈচিত্র্য এনেছে। মার্কেটের বাইরে এসব ব্যান্ডের শোরুমেও ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। নগরীর সাত্তার খান কমপ্লেক্স শপিংমলের নিউ রিলেশনের পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, ‘এবারে এক বছর থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু কিশোর কিশোরীদের পোষাকের সব ডিজাইনই বৈচিত্র্যতায় ভরা। গত এক সপ্তাহ ধরে ছোটদের পোষাকের ওপর চাপ যাচ্ছে’।
***
আনোয়ারায় প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি-শার্ট ও থ্রি-পিস
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বাজারের মার্কেটগুলো ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকছে।
সরেজমিন দেখা গেছে,রমজানের প্রথম সপ্তাহে ছিট কাপড় ও থান কাপড়সহ মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় কম হলেও গত কয়েকদিন ধরে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ঈদের নতুন পোশাকের জন্য ক্রেতারা ছুটছেন কাপড় ও তৈরি পোশাকের মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানে। বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান ঘুরে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জিনিসটি কিনছেন ক্রেতারা।
গত বুধবার বটতলী রুস্তমহাটের হাজী ইমাম শপিং সেন্টার,মোহছেন আউলিয়া রোডের দুই পাশের শতাধিক দোকান,বন্দর কমিউনিটি সেন্টারের ইত্যাদি শপিং সেন্টার,চাতরী চৌমুহনী বাজারের ওয়ান মাবিয়া সেন্টার,শরীফ মার্কেট,আনোয়ারা সদরের দিদার মার্কেট,জুঁইদন্ডী চৌমুহনী বাজারসহ বিভিন্ন বিপনিবিতান ঘুরে দেখা হয়। প্রতিটা মার্কেটেই জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ক্রেতারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী শাড়ি,থ্রি-পিস,শার্ট-প্যান্ট,জুতা,স্যান্ডেল, পাঞ্জাবিসহ অন্যান্য জিনিস কিনছেন।

এদিকে ক্রেতারা জানান,এবার প্রত্যেকটি কাপড়ের দাম একটু বেশি ধরা হচ্ছে। দাম অনুযায়ী কাপড় বা পোশাকের মান তেমন নয় বলেও অভিযোগ করেন ক্রেতারা। তবে এম এ ছবুর ক্লথ ষ্টোরের মালিক আবুল কাসেম দাম বেশি নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বেশি দাম নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কিছু কিছু কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে। যেটা পাইকারী বাজারে বেশি দামে কিনতে হয় সেটা খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রমজানের শুরুতে বেচাকেনা খুব একটা না হলেও কয়েকদিন ধরে বেচাকেনা ভাল হচ্ছে।
কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতা বলেন,সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে। শিশু ও তরুণীদের জন্য ফ্রক,গাউন,জিপসি,সামু সিল্ক,লাচা জামা বেশি বিক্রি হচ্ছে। সব বয়সীদের জন্য এই পোশাকগুলো দুই হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দশক ধরে রুস্তমহাটে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি বিক্রি করে আসছেন শাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি জানালেন,শাড়ি বিক্রি মৃতপ্রায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন