বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনু তামীম গোত্রের একজন মুসলমান কিভাবে আল্লাহর হক আদায় করবে এবং পরিবার বর্গ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে তা জিজ্ঞাসা করার জন্য মদীনা মুনাওয়ারায় রাসূলুল্লাহ (সা:) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অগাধ ধন সম্পদের অধিকারী লোক। আমার পরিবার পরিজন আছে। আর আমার বাড়ীতে যথেষ্ট মেহমানের আগমন ঘটে থাকে। এমতাবস্থায় আমাকে বলুন আমি ধন সম্পদ কিভাবে ব্যয় করব এবং কিভাবে কাজ কর্ম সমাধা করব। জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন : তুমি তোমার ধন-মালের যাকাত অবশ্যই আদায় করবে। কেননা এই যাকাত ধন-সম্পদের পবিত্রতাকারী। ইহা তোমাকে রক্ষাও পবিত্র করবে। আর তোমার নিকট সম্পর্কের লোকদের সাথে ‘ছিলায়ে রেহমী’ আত্মীয়তা সূলভ সদাচার অব্যাহত রাখবে। ভিক্ষা প্রার্থী, প্রতিবেশী ও মিসকিনদের অধিকার সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকবে। লোকটি বলল : ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য সংক্ষিপ্তি ও স্বল্প করুন। তখন রাসূলূল্লাহ (সা:) বললেন : অত:পর নিকটাত্মীয়ের ফকির-মসকিনও পথিক-মুসাফিরের হক অবশ্যই আদায় করবে। আর কোন বেহুদা খরচ করবে না। লোকটি পুনরায় বলল : ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি যদি আপনার প্রতিনিধির নিকট যাকাত আদায় করে দেই, তাহলে আমি এই ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট দায়িত্ব মুক্ত হতে পারব কি? ইহাই কি আমার জন্য যথেষ্ট হবে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন : হ্যাঁ, তুমি যদি আমার প্রতিনিধির নিকট যাকাত আদায় করে দাও, তাহলে তুমি ইহা হতে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। অত:পর তুমি এর শুভফল লাভ করবে। আর যে লোক যাকাত প্রদানের ক্ষেত্র স্বেচ্ছায় পরিবর্তন করবে অর্থাৎ যাকাত পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তির পরিবর্তে অযোগ্য লোককে যাকাত দিবে, এর গুনাহ তার উপরই বর্তাবে। (মুসনাদে আহমাদ; তাবরানী ফিল কাবীর) বস্তুত : রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আমলে এবং খিলাফতে রাশেদার আমলে রাষ্ট্রীয়ভাবে যাকাত আদায় করার ব্যবস্থা ছিল। জনগণ এভাবেই যাকাত আদায় করত। মোট কথা,যাকাত আদায়ের ইহাই ইসলামী বিধান। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন