সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে শনিবার দারুণ দলীয় বোঝাপড়ায় অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। মাঝ মাঠে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে মাঠের অন্য প্রান্তে লুইস সুয়ারেসকে পাঠান এদিনসন কাভানি। বাঁ দিক সতীর্থের দারুণ ক্রসে ছুটে গিয়ে হেড করে জালে পাঠান পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
রোনালদো অবশ্য সেভাবে সুযোগ পাননি, একবার শট নিয়েছিলেন। সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন মুসলেরা। বরং কর্নার থেকে হোসে ফন্ট সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। ২২তম মিনিটে উরুগুয়ের হয়ে সুয়ারেস পরীক্ষা নিয়েছিলেন পর্তুগালের, কিন্তু তাঁর নিচু ফ্রি-কিক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন পর্তুগাল গোলরক্ষক লুইস প্যাট্রিসিও।
প্রথমার্ধে গোলের তেমন কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পর্তুগাল। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ডি বক্সে বল পেতে দেননি দিয়েগো গদিন, হোসে মারিয়া হিমেনেসরা। আতলেতিকো মাদ্রিদের দুই ডিফেন্ডার অকার্যকর করে রাখেন পর্তুগিজ অধিনায়ককে। জমাট রক্ষণ ভেঙে ফের্নান্দো মুসলেরাকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
৫৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় পর্তুগাল। ছোট করে নেওয়া কর্নার থেকে বল পেয়ে চমৎকার ক্রস করেন রাফায়েল গেরেইরো। অরক্ষিত পেপে দারুণ হেডে সারেন বাকিটা। এবারের আসর তো বটেই চলতি বছরে প্রথমবারের মতো উরুগুয়ের জালে গেল বল।
খানিক আগের নায়ক বেসিকতাস ডিফেন্ডার পেপে খলনায়ক হয়ে যান ৬২তম মিনিটে। তার হেড থেকে বল পেয়ে রদ্রিগো বেন্তানকুর বাড়ান কাভানিকে। পিএজসি ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন।
৭০তম মিনিটে গেরেইরোর চিপ এগিয়ে এসে ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান উরুগুয়ে গোলরক্ষক মুসলেরা। সুযোগ এসে যায় বের্নার্দো সিলভার সামনে। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার অনেক ওপর দিয়ে মেরে দলকে হতাশ করেন।
মন্তব্য করুন