আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন স্পেনের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। রাশিয়ার কাছে পেনাল্টি ভাগ্যে ৪-৩ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার কয়ের ঘন্টা পর এই ঘোষণা দেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি মিডফিল্ডার।
বিশ্বকাপের পরেই বিদায় নেয়ার ঘোষণা অবশ্য আগেই দিয়ে রেখেছিলেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। শনিবার শেষ ষোলর ম্যাচে ৬৭তম মিনিটে বদলি নামেন ৩৪ বছর বয়সী। স্পেনের হয়ে এটি ছিল তার ১৩১তম ম্যাচ। পেনাল্টি শুট আউটের ম্যাচে দেশের হয়ে নেয়া শটে গোল করেন ইনিয়েস্তা। কিন্তু কোকে ও ইগো আসপাসের পেনাল্টি মিসে রাশিয়া থেকে বিদায় নিতে হয় ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচ শেষে ইনিয়েস্তা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো এটাই জাতীয় দলের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ।’
২০০৬ সালে স্পেন দলে অভিষেক হওয়ার পর ১২ বছরের ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপ শিরোপা জিতেছেন ইনিয়েস্তা। এত প্রপ্তির পরও শেষটা প্রত্যাশামত না হওয়ার আক্ষেপ ঝরে পড়েছে তার কন্ঠে, ‘কখনো শেষটা স্বপ্নীল হয় না।’ পাশাপাশি এটাকে ‘ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সদ্য শেষ হওয়া ক্লাব ফুটবল মৌসুমে বার্সায় ২২ বছরের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়ে জাপানের ভিসেল কোবেতে নাম লেখান ইনিয়েস্তা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে ৬৭৪ ম্যাচে অংশ নিয়ে জিতেছেন ৩২টি ট্রফি। স্প্যাানিশ কোচ ফার্নান্ডো হিয়েরা তাকে ‘ইতিহাসের অন্যতম কিংবদন্তি খেলোয়াড়’-এ ভূষিত করেন।
হিয়েরার কথার সঙ্গে দ্বিমত হওয়ার মত ফুটবল বোদ্ধা খুঁজে পাওয়া ভার। ইনিয়েস্তার দুর্ভ্যাগ্য এই যে, তিনি লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর যুগে জন্মেছেন। এই মন্তব্য অনেক ফুটবল বোদ্ধারই। নইলে একাধিকবারই তার হাতে উঠতে পারত ব্যালন ডি’অর কিংবা ফিফা বর্ষসেরা ট্রফি। তবুও যুগের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করা তার সেই বিশ্বকাপ ফাইনাল গোলের স্মৃতি কিভাবে ভুলবেন লা রোঁজারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন