গোলের জন্য কোনো শট নেওয়ার আগেই এগিয়ে যায় স্পেন। দ্বাদশ মিনিটে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন সের্গেই ইগনাশেভিচ।
ডান দিক থেকে মার্কো আসেনসিওর ফ্রি-কিক যেন সের্হিও রামোসকে খুঁজে না পায় সেই চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন ইগনাশেভিচ। রামোসকে নিয়ে মাটিতে পড়ার সময় অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার পায়ে লেগে জালে জড়ায় বল। কিছুই করার ছিল না রাশিয়ার গোলরক্ষক ইগর আকিনফিভের।
এবারের আসরে এটি দশম আত্মঘাতী গোল।
পায়ে অনেক বেশি সময় বল রাখলেও খুব ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্পেন। উল্টো জেরার্দ পিকের ভুলে ৪১তম মিনিটে সমতা ফেরায় রাশিয়া। আলেক্সান্দার সামেদভের কর্নারে হেড করতে লাফিয়ে উঠা পিকের উঁচিয়ে থাকা হাতে পেছন থেকে জুবার হেড লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি।
ঠাণ্ডা মাথায় ডান দিক দিয়ে বল জালে পাঠান জুবা। গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া ঝাঁপিয়েছিলেন উল্টো দিকে।
৬৭তম মিনিটে দাভিদ সিলভার জায়গায় ইনিয়েস্তা মাঠে নামার পর বাড়ে আক্রমণের ধার। ৮৪তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারের ভলি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দুটি ম্যাচ শেষ হয় নির্ধারিত সময়ে। তৃতীয় ম্যাচ গেল অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচে এক হাজারের বেশি পাস দেয় স্পেন। তার ৯০ শতাংশ পৌঁছায় লক্ষ্যে। কিন্তু গোলের খুব ভালো সুযোগ তৈরির মতো পাস দিতে পারেননি ফের্নান্দো ইয়েররোর শিষ্যরা। অন্য দিকে পেনাল্টি ছাড়া লক্ষ্যে একটি শটও রাখতে পারেনি রাশিয়া।
মন্তব্য করুন