নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সরকারের বয়স্ক ভাতাপ্রাপ্ত আশি ঊর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে মৃত দেখিয়ে তার ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, দরিদ্র জবান উদ্দিন ও তার স্ত্রী রাবেয়া উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারিহাট গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বৃদ্ধ দম্পতির চার ছেলে-মেয়ে থাকলেও তারা দরিদ্র হওয়ায় বাবা-মাকে দেখভাল করতে অসমর্থ। তারপরও সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতায় বৃদ্ধ এ দম্পতির দিন ভালোই কাটছিল। তবে অজানা কারণে জবান উদ্দিনকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্কভাতা বন্ধ করে দেয় উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। আর এতে অর্থাভাবে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জবান উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তর ১৯৯৯ সাল থেকে জবান উদ্দিনকে মাসিক ১’শ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা দেওয়া শুরু করে। এরপর পর্যায়ক্রমে এ ভাতা বেড়ে ৫’শ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ভাতা উত্তোলনের জন্য কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে গেলে তার বাবা মৃত বলে তারা জানান। জবান উদ্দিন বলেন, ভাতা পেতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সমাজসেবা অধিদপ্তরে দুইবার যোগাযোগ করে কোনো সুরাহা হয়নি। উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ওই ইউনিয়নের মাঠ কর্মী আতাউর রহমান জানান, তদন্ত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুকান্ত বলেন, জবান উদ্দিনসহ আরো কয়েকজনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তিনি বয়স্ক ভাতা পাবেন। এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন