রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শঙ্খ নদীর ভাঙনে হুমকিতে অর্ধশতাধিক পরিবার

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইনে আবারও শঙ্খের ভাঙন দেখা দিয়েছে। যদিও ইতিপূর্বে ওই এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে বর্ষায় ওই স্থানের অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, গত কয়েক বছরে শঙ্খ নদীর তীব্র ভাঙনে উপজেলার বারখাইনের শাহারপাড়া ও জেলেপাড়ার অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা। বেড়িবাঁধ না থাকায় এসব বাড়িঘরে জোয়ারের পানি উঠানামা করছে। এতে বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সেই সাথে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উপক‚ল সুরক্ষায় সরকারের ২৮০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের আওতায় ওই স্থানের ৫০০ মিটার এলাকার উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ, জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও সিসি ব্লক নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সম্পূর্ণ কাজ বুঝিয়ে দেবে।
স্থানীয়দের দাবি, গত আট মাসে কাজ হয়েছে শতকরা ৩০ ভাগেরও কম। এ কারণেই এক পাশে চলছে ভাঙন আর অন্য পাশে চলছে প্রতিরোধ কার্যক্রম। এদিকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে এলাকাবাসী ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে তদবির করেও সুফল পায়নি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করে কাজ করায় নদীর পানি বেড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ডাম্পিং করার অধিকাংশ জিও ব্যাগ ক্রমশ নদীর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন। ফলে হুমকির মুখে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক আজিজ জানান, ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে। শুধুমাত্র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণেই আজ বারখাইনের শাহারপাড়া ও জেলেপাড়ার অর্ধশত পরিবার হুমকির মুখে।
আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে আমরা বার বার তাগিদ দিয়ে আসছি। ভ‚মি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি প্রতিনিয়ত এ ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছেন। তিনি অতি দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন