শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রাঙ্গুনিয়ায় সেতুতে ফাটল : যান চলাচল বন্ধ

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে নুরুল আবছার চেীধুরী | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক খালের সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল ও দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের পানির অতিরিক্ত স্রোত ও সেতুর গোড়া থেকে বালি উত্তোলনের ফলে শিলক খালের ওপর নির্মিত দীর্ঘদিনের পুরানো এই সেতু ঝুকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে স্থানীয়রা লালপতাকা গেড়ে দেওয়ায় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তবে পায়ে হেটে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। এটি সংস্কারসহ নতুন সেতু নির্মাণের দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বড় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখো যায়, টানা বর্ষণে শিলক খালের উপর দিয়ে পাহাড়ি ঢল বয়ে যাচ্ছে। ঢলের অতিরিক্ত পানি স্রোতে এ ইউনিয়নের ব্রিজটি ধসে গিয়ে মধ্যেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ কালিন্দরাণী সড়কের উপরে ব্রিজটি। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় এই সড়ক পথে পদুয়া ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে এই সড়ক পথে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। পদুয়া ও শিলক এলাকার মানুষ কালিন্দরাণী সড়ক হয়ে গোডাউন সেতু দিয়ে মূল উপজেলা সদর এবং কাপ্তাই সড়ক দিয়ে গন্তব্যে আসাযাওয়া করেন। কিন্তু সেতুটির কারণে এই যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। সেতু নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পদুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সীপন বড়ুয়া বলেন, ‹শলিক সেতু ধেবে গিয়ে যানবাহন বন্ধ হয়ে গিয়েছে জানতাম না। সকালে গুরুত্বপূর্ণ কাজে শহরে যাওয়ার পথে এখানে এসে গাড়ি নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।›
স্থানীয় খুরিশিয়ার রমিজ নামের একব্যক্তি বলেন, ‘শিলক খালে সেতু পীলারের নিচ থেকে বালু সরে যাওয়াতে এতে সেতু দেবে ও ফাটল ধরে। তিনি দু:খ করে বলেন, এরশাদ সরকার আমলে ১৯৮৯তে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতিকালে এলাকার কিছু বালু ব্যাবসায়ী অবৈধভাবে সেতুর নীচে থেকে বালু উত্তোলন করায় সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয় ও ধেবে যায়।
স্থানীয় ছাত্রনেতা মাহমুদুল হাসান বলেন, সেতুটি ধেবে গিয়ে ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় লাল পতাকা গেড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হলেও সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটে যাতায়াত করছেন।
যেকোন সময় এটি ভেঙ্গে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এটি সংস্কারসহ নতুন সেতু নির্মাণ জরুরি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান, ‹সেতুটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন আনুমানিক আড়াইশত ফুট লম্বা ও ১২ ফুট প্রসস্ত। এটি কালিন্দারাণী সড়কের শিলক খালের উপর নির্মিত পুরাতন একটি সেতু। সেতু মাঝ বরাবর ফাটল দেখা দেওয়ায় সড়ক পথে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। আমি বিষয়টা সড়ক ও জনপথ বিভগের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এটি নিয়ে উর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মো:মজিবুর রহমান ২৯ জুলাই, ২০১৮, ১:২৩ পিএম says : 0
প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা যায়। ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল করুন। ক্ষতিপুরুন আদায় হোক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন