শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে

সংসদীয় কমিটিকে মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ আরও সহজতর করতে এবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে সমীক্ষা যাচাই করেছে। প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়, থেকে কমিটিকে বলা হয়, ঢাকা শহরকে বাইপাসের মাধ্যমে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমানোর জন্য ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়াপুর থেকে নিমতলী- কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ হবে।
এছাড়া আগামী বছর অর্থাৎ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প কাজ দৃশ্যমান হবে। এ কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরের কাজ অনেকাংশই কমে যাবে বলে বলে কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, সড়ক বিভাগের আওতায় বিভিন্ন কোয়ার্টারে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের দ্রæত উচ্ছেদ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। বৈঠকে জানানো হয় মিরপুর সড়ক গবেষণাগারে ৬টি আবাসিক ভবনের ৪৬টি ফ্ল্যাটে বেশকিছু বহিরাগত রয়েছে। একইভাবে ওখানকার ১০২টি টিনশেড স্থাপনায়ও বহিরাগতরা থাকছেন। তাছাড়া ঢাকা সড়ক বিভাগের আওতায় ৬টি ভবনের ৫৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর্বারি কালচারের আওতায় ৪৬টি টিনশেডে বহিরাগত রয়েছেন সব মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক। তাদের অনেকে আবার সাবলেটের মাধ্যমে বসবাস করছেন। এসব টিনশেড বা সাবলেট বাসার বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের প্রস্তাব করা হয়। এজন্য সড়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটির মাধ্যমে বহিরাগতদের উচ্ছেদসহ যাবতীয় বিল আদায়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির বৈঠক শেষে কমিটি সদস্য নাজমুল হক প্রধান সাংবাদিকদের বলেন,, ঢাকার সঙ্গে সড়ক নেটওয়ার্ক সহজতর করতে ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্টের কাজ দ্রুত শুরুর জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি। মালয়েশিয়া সরকারের অনুমতি পেলে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রমেশ চন্দ্র সেন, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হক প্রধান, মনিরুল ইসলাম, মিসেস লুৎফুন নেছা এবং নাজিম উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিসি ও বিআরটিএ চেয়ারম্যান, সড়ক ও জনপথের অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন