শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আনোয়ারায় পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েডের ব্যবহার

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় খামারি ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই উপজেলার অধিকাংশ কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত হচ্ছে স্টেরয়েড জাতীয় নিষিদ্ধ ওষুধ। তবে খামারিদের দাবি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই পশু মোটা-তাজা করা হচ্ছে।
জানা যায়, কোরবানির ২০/২৫ দিন আগে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গরু মোটা-তাজা করার জন্য ওষুধ খাওয়ান। বেশি লাভের আশায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহারের মাধ্যমে রোগাক্রান্ত কিংবা কম ওজনের গরু,ছাগল ও মহিষ অল্প সময়ে স্বাস্থ্যবান করে তোলার পথ বেছে নেন তারা। এতে আসন্ন ঈদুল আযহার কোরবানি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। আইন অনুযায়ী গরু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েডের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা ঈদ মৌসুমে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য তা ব্যবহার করছেন। এই ক্ষতিকর স্টেরয়েডের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার গণস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে।
বরুমচড়া গ্রামের খামারী শাহ আলম বলেন,গরু মোটাতাজাকরণে আমরা কোন ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করি না। এগুলো ব্যবহার করলে অল্পদিনে গরুর বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তাছাড়া অনেক সময় গরু মারাও যায়। আমরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে গরুকে স্বাভাবিক খাবার যেমন খৈল,ভ‚ষি,ঝাউ,ভিটামিন ও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ায়। এতে গরুর কোন ক্ষতি হয় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পশু চিকিৎসক জানান,অধিকাংশ চাষি ক্ষতিকর ওষুধ খাইয়ে গরু,ছাগল,মহিষ মোটাতাজা করেন। তারা সাধারণত ‘পাম’ বড়ি এবং স্টেরয়েড,প্রি-ডেক্সানল,ডেক্সামেথাসন,বেটামেথাসন, পেরিঅ্যাকটিন,প্যারাডেক্সা ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছেন গবাদিপশুকে। আর বেশি মাত্রায় ওষুধ খাওয়ানোর পর যখন গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাদের ডাক পড়ে। এক শ্রেণির হাতুড়ে চিকিৎসক এসব ক্ষতিকর ওষুধ কেনার প্রেসক্রিপশন দিয়ে থাকেন বলেও তিনি জানান।
আনোয়ারা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.দেলোয়ার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন,গরু মোটাতাজাকরণে যে ধরণের স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার করতো তা এখন কমে গেছে। প্রাণিসম্পদ অফিসের একটি টিম বিভিন্ন এলাকার খামার ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদারকি করছেন এবং বিভিন্ন দোকান ও ফার্মেসীতে গিয়ে তল্লাশী করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ও খামারীদের নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো বুঝানোর চেষ্টা করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন