কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মাগুরা জেলার চার উপজেলার ১৬টি পশুরহাট জমে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো হাট বসছে। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেেছ হাটগুলো। মাগুরা জেলার ১৬টি পশুরহাটে গরু ছাগল নবরূপ ধারণ করেছে। এ সুযোগে ইজারাদারেরা হাসিলের নামে লুটে নিচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ এ অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মাগুরার রামনগর, কাটাখালী, আলমখালী, কানুটিয়া, আলোকদিয়া, ইটখোলা, আড়পাড়া, সীমাখালী, লাঙ্গলবাঁধ, আমতৈল, দারিয়াপুর, সারঙ্গদীয়া, খামারপাড়া, কানুটিয়া, বেথুলিয়াসহ বিভিন্ন হাটে এবার দেশি গরুর সংখ্যা বেশি। হাটগুলোতে গরু-ছাগলের ব্যাপক সমাগম ঘটছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য মাগুরা পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি হাটইজারাদার তার নিজস্ব লোকজন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।
এবারের কুরবানির হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এ বছর গরু-ছাগলের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম লক্ষ করা যাচ্ছে। এতে সন্তষ্ট নয় খামার ও গরু ব্যবসায়ীরা। যথেষ্ট উচ্চমূল্য না পাওয়াতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে ধর্মীয় কাজটি সম্পন্ন করতে পশু কিনছেন মানুষ। তাই বিক্রিও কম নয়। এবার মাগুরার হাঠে ভারতীয় গরু তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা।
গত বুধবার মাগুরা সদর উপজেলার কাটাখালী গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে হাটের হালচিত্র। হাটে গরু ছাগলের পাশাপাশি ভেড়াও দেখা যাচ্ছে। তবে শেষ মুহূর্তে হাটে বেচাকেনা জমে উঠেছে পুরোদমে। হাটে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে দেশি গরু। জেলার অন্যান্য গরুর হাটগুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশি গরু আসছে। তবে ভারত, নেপাল ও ভুটান খেকে গরু না আসায় বেশি দামে দেশি গরু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। হাটে ছাগলের আমদানিও যথেষ্ট। এ হাটে গত কয়েক দিনের তুলনায় ঈদ যত এগিয়ে আসছে বিক্রিও বাড়ছে দিনদিন। হাটে ৪৫ থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছেন বিক্রেতারা তবে সর্বোচ্চ এক লাখ ৩০ হাজার টাকার গরু ও ৩০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ৪৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের গরুর ক্রেতা বেশি।
মাগুরার গরু ব্যবসায়ী খায়রুজ্জামান জানান, পশু খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার গরু পালন করে তেমন একটা লাভ করা যাচ্ছে না। খামারিরা ও বলেন একই কথা। রামনগর হাটের ইজারাদার জানান, এবার ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু না আসায় দেশি গরুর আমদানি একটু বেশি তবে দেশি গরুর দামও অনেক বেশি। তিনি আরো বলেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য আত্রাই পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি হাট ইজারাদার তার নিজস্ব লোকজন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। কোবানির হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য মাগুরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে মাগুরার পুলিশ সুপার খান মোহম্মাদ রেজওয়ান জানান। জাল টাকা রোধের জন্য হাটে হাটে মেশিস বসানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন