সখিপুর পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা, বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বনবিভাগের জায়গায় সংরক্ষিত বাগানে। এমএম চালা (আন্দি) বিট অফিসের দক্ষিণ পাশে সখিপুর কাকড়াজান পাঁকা রাস্তার পৌরসভার সীমানা ঘেঁষে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে সখিপুর পৌরসভার দুর্গন্ধ যুক্ত বিষাক্ত ময়লা। এতে করে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী, বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিদারুণ কষ্টে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। সখিপুর হতে মাত্র ২.৫ কিলোমিটার দূরে কাশেমের স’মিল পাড় হয়ে আন্দি বাজারের মাঝ পথে দুই, তিন, জায়গায় ফেলা হয় এই দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত বর্জ্য, ফেলা হয়েছে কোরবানির বর্জ্য। তীব্র, বিকট দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়।
সখিপুর আবাসিক মহিলা অনার্স কলেজ, সরকারি মুজিব কলেজ, সূর্যতরুণ শিক্ষাঙ্গন, সখিপুর পিএম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সখিপুর পিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কিন্টার গার্ডেন স্কুলসহ অনেক স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই রাস্তায় চলাচল করে। তা ছাড়া কাকড়াজান ইউনিয়ন, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহসহ উত্তর এলাকার সকল মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। আন্দি বাজার ও কাশেমের করাতকল হতে নাক, মুখ চেপে ধরে খুবই দুর্বিষহ কষ্টে পাড় হতে হয় এ সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের। এ কষ্ট কতদিন চলবে? এ কষ্ট দেখার কেউ নাই? এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র একই দলের হওয়ায় প্রতিকার চেয়েও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমএম চালা (আন্দি) বিট অফিসার আলাল উদ্দিন বলেন, বাগানের ভেতর বর্জ্য ফেললে পরিবেশ ও গাছের ক্ষতি হয়, ময়লা-আর্বজনা বাগানের ভেতর গর্ত করে ফেলার কথা। সখিপুর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ বলেন, পৌরসভার বর্জ্য কোথাও না কোথাও তো ফেলতে হবে। যেখানেই ফেলি কিছু সমস্যা তো হবেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন