বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমি স্পষ্টভাবেই বিশ্বাস করি আমাদের এই ঐক্যের ভিত্তি ভারসাম্য রাজনীতি হবে। এটাও বিশ্বাস করি, যারা মুক্তিযুদ্ধে মানচিত্রকে এখনো অস্বীকার করে আমরা তাদের বাদ দিয়ে সকল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য কামনা করি। আমরা যেভাবে কল্পনা করি সেভাবে জাতীয় ঐক্য হবে। যারাই গণতান্ত্রিক শক্তির স্বপক্ষে, যারাই স্বেচ্ছাচারি সরকার চান না, যারা জনগণের সরকার চান, দেশপ্রেমিক সরকার চান তারা সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবো। ভবিষ্যতে যাতে কোনো দিন স্বৈরাচারি সরকার না আসে এ ব্যাপারে ফর্ম‚লা বের করে জনগণের কাছে আমরা যাবো। গতকাল বি চৌধুরীর বারীধারাস্থা বাসা ‘মায়াবী’তে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে যোগ দেন দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ড. কামাল হোসেন শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি। এ বৈঠকে বিকল্প ধারার একটি প্রস্তাব তুলে দেওয়া হয় উপস্থিত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের হাতে। এতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চাইলে বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে আসার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিএনপির সঙ্গে ঐক্য চায় বিকল্পধারা। তবে, স্বাধীনতাবিরোধী কাউকে শরিক হিসেবে রাখলে দলটির সঙ্গে কোনও ঐক্য হবে না। বি চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আসম রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার উমর ফারুক, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমীন প্রমূখ।
বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বি চৌধুরী। বিএনপির প্রতিনিধি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের ২৯ তারিখে যে জনসভা আছে সেই সভা থেকে আমরা আমাদের পরিকল্পনা জনগনের কাছে দেবো। নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এগুচ্ছে। গত ২ দিনে সরকার এটাকে খুব হিসাব করছে। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন