মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সওজের কাজে অনিয়ম

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

৫৬ কোটি টাকায় ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের চৌরাস্তা থেকে বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার চার লেন রাস্তা ও দুটি সেতুতে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিস্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং না করায় কাজ বাস্তবায়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে স্থানীয়রা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম মেনেই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাফাই গাইছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে।

জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ও শহরের যানজোট এড়াতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন। কাজ উদ্বোধনের পর রাস্তা প্রসস্তকরণে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে শহরের চৌরাস্তা থেকে বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। তবে কোর্ট চত্বরের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি কিছু অংশ। তারপরও কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ঠাকুরগাঁও শহরের জলেশ্বরী তলার জহির খান, ফজল আলী, আব্দুর রহিমসহ নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও সড়ক জনপথের লোকজন এক হয়ে কাজ বাস্তবায়নে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে আসছে। কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক জনপদের দুই-একজন ব্যক্তি টাংগন নদী থেকে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বেশি দামে বিক্রি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। আর সেতুর আশপাশে বাঁধ নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে মাটিযুক্ত পাথর। রাস্তায় প্রসস্তকরণে চালুর সাথে ইটের খোয়া ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ময়লাযুক্ত মাটি। এতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাভবান হলেও কাজের মান খারাপ হচ্ছে। তবুও দেখার যেন কেউ নেই। আমরা চাই কাজ ভালো হোক। রক্ষক এখন ভক্ষক। এভাবে চলতে থাকলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন হোক। আর কাজ বাস্তবায়নে সড়ক জনপথের দায়িত্বরত লোকদের পরির্বতন করা হোক।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার মো. আওলাদ হোসেন বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করছি। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মুকিত জানান, আমি এবং আমার কোনো লোক অনিয়মের সাথে জড়িত নই। স্বচ্ছভাবে যেন কাজ হয় তা প্রতিদিনই বুঝিয়ে নিচ্ছি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে।

আর ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুজ্জামান জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চার লেন রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। কাজের মেয়াদ ধরা হয়েছে ১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সিপিসিএল নামে ঢাকাস্থ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজ সম্পন্ন করবেন। আর অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, সড়ক জনপদ বিভাগের কোনো লোক নদী থেকে বালু তুলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছে কি-না তা আমার জানা নেই। সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। অনিয়ম হলে তা আমরা খতিয়ে দেখব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন