রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সান্তাহারে রেল ক্রসিংয়ে বাজার

আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে মো. মনসুর আলী | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের সর্ববৃৃহৎ জংশন সান্তাহার শহরের জনগুত্বপূর্ণ লেভেল ক্রসিং (রেলগেট) এবং স্টেশন এলাকা ও এর আশেপাশে গড়ে উঠেছে হাটবাজার, দোকানপাটসহ শত শত অবৈধ স্থাপনা। এসব অবৈধ দোকান ও হাটবাজার নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় স্টেশন মাস্টার ও তার অধীনস্থ কয়েকজন গেট কিপারসহ রেল বিভাগের স্থানীয় বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন। এসব দেখার কেউ নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন ও সর্বসাধারণ। এসব অবৈধ স্থাপনা মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ করা হলেও স্থানীয় স্টেশন মাস্টার রেজাউর করিম ডালিমের নেতৃত্বে ফের গড়ে উঠে। প্রভাবশালী স্থানীয় ওই স্টেশন মাস্টারের নামে লেভেল ক্রসিংয়ে কর্মরত গেট কিপার ও এক জনৈক ব্যক্তি প্রতিদিন দোকান ও জায়গাভেদে চাঁদা (খাজনা) আদায় করেন। ওই স্টেশন মাস্টার বিএনপির শ্রমিক দলের নেতা ছিলেন। তৎকালীন বিএনপি সরকারের শসনামলে ওই স্টেশনের সুইস কেবিন মাস্টার ও এসএম পদে চাকরি করার সময়ই লেভেল ক্রসিং রেলগেটের ভেতরে অবৈধ দোকান ও হাটবাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন। এসব কর্মকান্ড জিইয়ে রাখতে তিনি বর্তমান শাসক দলের শ্রমিক লীগে যোগদান করে প্রভাব বিস্তার করে এসব কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। রেলের দায়ীত্বশীল একজন ব্যক্তির দ্বারা এসব কর্মকান্ড চললেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে রেলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেদখল হচ্ছে, আবার ঝুঁকিতে চলছে ট্রেন ও সর্বসাধারণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে রেলকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সারাদেশসহ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সময়মতো ট্রেন চলাচল এবং ট্রেনের গতি বাড়াতে ট্রেনের লক্কড়ঝক্কড় বগি বদল করে নতুন নতুন বগি সংযোনকরণ, রেলের লোকবল বৃদ্ধি, বন্ধ রেলস্টেশন চালুসহ রেলকে এগিয়ে নিতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। কিন্তু কিছু অসৎ রেলকর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারিতায় রেলের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেদখ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও রেলের লেভেল ক্রসিং (রেলগেট) রেল স্টেশনসহ রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবৈধভাবে হাটবাজার বসার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ট্রেনের গতি বৃদ্ধির চেয়ে কমে যাচ্ছে। ওই স্টেশন মাস্টারের নামে জনৈক এক ব্যক্তিসহ লেভল ক্রসিংয়ে কর্মরত গেট কিপার প্রতিদিন চাঁদা (খাজনা) আদায় করেন। ট্রেন দুর্ঘটনা রোধের জন্য রেললাইনে সেলফি তোলা, রেললাইনে বসা ও রেললাইনের ওপর দিয়ে চলতে মোবাইলে কথা বলা, রেললাইনের ওপর গরু ছাগল চরানো, রেললাইনের অবৈধভাবে দোকানপাট বসানোর ক্ষেত্রে সর্বসাধারণকে সতর্ককরণে রেলওয়ে থানা পুলিশের উদ্যোগে র‌্যালি, লিফলেট বিতরণ, মাইকে প্রচার করা শুধু লোক দেখানো বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আপনাদের আর কিছু চোখে পড়ে না, শুধু রেলের ভেতরের দোকান চোখে পড়ে। আপনার যা ইচ্ছে তাই লিখেন, আমার কিছু হবে না। এসব অবৈধ স্থাপনার জন্য রেলওয়ে থানা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে লিখিত দিয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন