কিশোরগঞ্জের মূল নদী নরসুন্দা। কিশোরগঞ্জজুড়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে রয়েছে এই নরসুন্দা নদী। দখল ও ভরাটে প্রায় ২০০ কিলোমিটারের নরসুন্দা নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। নদীটির বুকে কোথাও অবৈধ স্থাপনা, কোথাও চাষাবাদ, কোথাও পলি পড়ে ভরাট হয়ে সামান্য পানিও নেই। খননের পরও নাব্য সংকটে ভুগছে কিশোরগঞ্জের প্রাণ নরসুন্দা! পানিপ্রবাহ সেই আগের মতোই। নদীটির করিমগঞ্জ, হোসেনপুর ও চামড়াঘাট অংশে পানিপ্রবাহ নেই বললেই চলে। এই অংশটি শুকিয়ে যাওয়ার সুবাদে স্থানীয় লোকজন চাষাবাদসহ পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। এ ছাড়া নদীটির পাগলা মসজিদ, বত্রিশ, পুরান থানা, মণিপুরী, একরামপুর, বড়বাজার, চর শোলাকিয়া, শ্মশানঘাট এলাকায় নদীটির বেশিরভাগ অংশ প্রভাবশালীদের দখলে। জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নদী দখলদারদের উচ্ছেদ করার কয়েকদিনের মধ্যেই তা আবার দখল হয়ে যায়। নরসুন্দা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর দুই পাড়ে সংযোগ সড়কের ফলে ভরাট ও প্রভাবশালীদের নদী দখল ত্বরান্বিত করা হয়েছে! নদীটির নাব্য সংকট দূর করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি। নদী দখলকারীদের উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
সাধন সরকার
সাবেক ছাত্র, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন