জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার তানভীর চৌধুরী আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় তিনি নাটোর সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪১ বছর। তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও আতœীয়-স্বজন রেখে যান। কাল বাদ এশা নাটোরের কাচারী ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৫ সালের ১৯ মে নাটোর থেকে ঢাকায় আসার পথে এক সড়ক দূর্ঘটানায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তানভীর। দুই মাসেরও বেশি সময় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই ফুটবলার। দীর্ঘ চিকিৎসার পর মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসলেও পরে আর স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেননি তানভীর। দীর্ঘদিন স্মৃতিশক্তি হারিয়েছিলেন সাবেক এ উইঙ্গার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সুত্রে জানা গেছে, হঠাৎ বøাড সুগার কমে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।
নিজ ক্যারিয়ারে ঢাকার ক্লাব ফুটবলে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, বাড্ডা জাগরণী সংসদ, ঢাকা আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলেছেন লেফট উইঙ্গার তারভীর। নিলট-টাটা জাতীয় লিগের প্রথম আসরে চট্টগ্রাম আবাহনীর জার্সি গায়ে হয়েছিলেন সেরা ফুটবলার।
তানভীর ইন্তেকাল করেছেন, কাল এ খবরে দেশের ফুটবলাঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। সতীর্থ সাবেক ফুটবলাররা মুঠোফোনে সমবেদনা জানান তার পরিবারকে।
তানভীরে এক সময়ের সতীর্থ সাবেক ডিফেন্ডার ফিরোজ মাহমুদ টিটু জানান, তিনি নিয়মিত তানভীরের খোঁজ নিতে। টিটিু বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি নিয়মিত তানভীরে খোঁজ খবর রাখতাম। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসার পর বাসায় থেকেই এতদিন চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। তবে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারতেন না। হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হতো তাকে। তবে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতী হচ্ছিলো। হালকা কথা-বার্তাও বলতে পারতেন। কিন্তু ক’দিন আগে হঠাৎ আবার শরীর ফুলে অবস্থার অবনতি হতে থাকে তানভীরের। শেষ পর্যন্ত থাকলেন না, চলেই গেলেন পরপারে। খুব খারাপ লাগছে তার মৃত্যুতে।’
সাবেক ফুটবলার তানভীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাফুফে। এক শোকবার্তায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন ও সংগঠকরা আন্তরিক শোক প্রকাশসহ মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন