রাজশাহীর তানোরে আলোচিত সার ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী হহত্যাকান্ডেরর প্রকৃত রহস্য পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নিহতের স্বজনরা ।
সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের হিস্যা নিয়ে তার ঘনিষ্ঠরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন বইছে। আলোচিত শাহজাহান আলী হত্যার দীর্ঘ প্রায় দু’মাস অতিবাহিত হতে চলেছে তবুও পুলিশ মামলা তদন্তে এখানো তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, তানোরের বাধাইড় ইউপির শিবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সার ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী চলতি বছরের ১৫ জুলাই রোববার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। একই দিনে তার ঘনিষ্ঠ এক ব্যাক্তি ঢাকায় গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা অবস্থান করে ও আমনুরার দুই ব্যক্তির সঙ্গে তার দীর্ঘ ফোনালাপও হয় পরেরদিন ১৬ জুলাই সোমবার ঘনিষ্ঠ সেই ব্যাক্তি তানোর ফিরে আসলেও এবং একই দিনে পাবনার ঈশ্বরদী হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নীচে শাহজাহানের লাশ পাওয়া যায়।
চলতি বছরের ১৮ জুলাই এ ঘটনায় শাহজাহান আলীর স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদি হয়ে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে সেলিনা বেগমের অভিযোগে ঘনিষ্ঠ সেই ব্যাক্তির নাম থাকলেও রহস্যজনক কারণে তার নাম বাদ দিয়ে পুলিশ ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা গ্রহণ করে বলে গুঞ্জন বইছে। তবে তার নাম বাদ গেলেও এক সাংবাদিক পরিবারের ৬ সদস্যকে আসামী করা হয়েছে, এনিয়ে স্থানীয়দের মনে জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের ।
এদিকে নিহতের স্বজনরা বলছে, একই দিনে তাদের সে ঘনিষ্ট সহচর ঢাকায়গমন ফিরে আসা ও আমনুরার দুই ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপ, সম্পত্তির ক্রয়-বিক্রেয় অর্থ নিয়ে মতবিরোধ এবং হত্যাকান্ডের তিনদিন আগের ও পরের শাহজাহান ও তার কললিস্ট উদ্ধার করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হলে এবং সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সম্পৃক্তদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক অজানা রহস্য রেরিয়ে আসতে পারে। আর এ জন্য তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম তিনি বলেন, এই মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হলেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন