রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মাছশূন্য খাল-বিল ও নদী

সান্তাহারে কারেন্ট, সুতি ও নেট জালে অবাধে পোনা নিধন

আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে মো. মনসুর আলী | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বগুড়ার সান্তাহারের ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল, খাল ও জলাশয়ে কারেন্ট, সুতি ও নেট জাল দিয়ে অবাধে মাছ মারায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছ। এক সময় এই বিলে দেশি মাছের সুনাম থাকলেও কালের পরিক্রমায় তা হারিয়ে যেতে বসেছে। সরকারিভাবে সম্পদ রক্ষা করার জন্য যেসব উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন তা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে মৎস্য শিকারীরা মানছে না মৎস্য আইন। অবাধে কারেন্ট, সুতি ও মশারি নেট জাল দিয়ে শিকার করা হচ্ছে সব ধরনের ছোট মাছ। এতে স্বনামধন্য এই বিল মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। একসময় এই বিলের মাছ দিয়ে নওগাঁর রানীনগর, আদমদীঘি, সান্তাহার ওরে আশপাশ এলাকার চাহিদা মেটার পর বগুড়া ও রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যেত মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কালের পরিক্রমায় ভরা মৌসুমে ও এলাকায় শাছের আকাল দেখা দেয়। এলাকাবাসী এর অন্যতম কারণ হিসাবে জানান, কারেন্ট সুতি ও নেট জালের ব্যবহার। বিলপার এবং এর আশপাশের মৎস্য শিকারীরা কারেন্ট জাল, সুতি ও মশারি নেট জাল দিয়ে অবাধে ছোট থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছ শিকার করে আদমদীঘি-সান্তাহার এলাকার ও আশেপাশে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করছে ।

আদমদীঘি উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরও সান্তাহার প্লাবনভ‚মি উপকেন্দ্রের উদ্যোগে বিলিপ্ত হওয়া দেশি মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছ অবমুক্ত করে দায়সারা হয় মাত্র। গত এক মাস আগে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও সান্তাহার প্লাবনভ‚মি উপকেন্দ্রের উদ্যোগে রক্তদহ বিলে এলাকা থেকে বিলুপ্তি নুনা (ভদা) মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এই মাছ বড় না হতেই মাছ শিকারীদের জালে ধরা পরছে। মাছের বংশবৃদ্ধি ও সুরক্ষায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো খরা জাল, কারেন্ট জাল অপসারণ ও আটক করে অগ্নিসংযোগ, জরিমানা এবং সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম করে থাকে। বছরের বেশি সময় এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ ও অভিযান পরিচালনা না করার কারণেই এই বিল, খাল সরকারি জলাশয় থেকে মাছ শিকার করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রায়ই বিক্রি নিষিদ্ধ জাটকা ও অননুমোদিত আকারের মাছ নির্দ্বিধায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে এই বিল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সবধরনের মাছ। এই বিলের মাছ দিয়ে একসময় রানীনগর আদমদীঘি-সান্তাহারও এর আশপাশ এলাকার মানুষের চাহিদা মিটিয়েও বগুড়া ও রাজধানী ঢাকায় যেত এই বিলের মাছ। এখন অর্ধেক চাহিদা ও মেটে না। এ কারণে স্থানীয় হাট-বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। ভরা মৌসুমে এলাকার হাট-বাজারে মাছ সঙ্কট দেখা দেয়। বেড়ে যায় সব ধরনের মাছের দাম।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মাহাবুবুর রহমানকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন