বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন ৩০ ডিসেম্বর নজিরবিহীন জালিয়াতি আর ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যূনতম রাজনৈতিক ভারসাম্য ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সাথে একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্থান ঘটেছে। ৩০ ডিসেম্বর আরো একবার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সমগ্র রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। রাষ্ট্রের আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যকার ভারসাম্যকেও পুরোপুরি নষ্ট করে ব্যক্তি কর্তৃত্বের রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদকে আরো সংহত ও জোরদার করা হয়েছে। গতকাল দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।াইফুল হক বলেন, ভোট ডাকাতির এ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকশ্রেণীর গত কয়েক দশকের দ্বি-দলীয় ব্যবস্থারও অবসান ঘটানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয়বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানসমূহের পেশাদারি নিরপেক্ষতা নষ্ট করা হয়েছে। অনাকাঙ্খিতভাবে শাসকদলের অস্বিত্বের সাথে রাষ্ট্রীয়বাহিনীর অস্তিত্বকে যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় সরকার পরিবর্তন ও ভোটারদের পছন্দের দলকে বেছে নেবার গণতান্ত্রিক সুযোগকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি দেশ ও জনগণের জন্য গুরুতর অশনিসংকেত ও বিপজ্জনক। এটা মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক চেতনার ১৮০ ডিগ্রী উল্টো দিকে যাত্রা। দেশের কোন সচেতন ও বিবেকবান মানুষ এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারে না।
সাইফুল হক বলেন, গণআন্দোলন-গণসংগ্রামের পথে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে না পারলে এই পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করতে পারে ষড়যন্ত্রকারীরা। উত্থান ঘটতে পারে অগণতান্ত্রিক ও চরম দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ট শক্তি। তিনি এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ভোট ডাকাতির সংসদ বাতিল, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, নিরপেক্ষ-তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, সজীব সরকার রতন, মাহমুদ হোসেন, নির্মল বড়–য়া মিলন, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, প্রশান্ত দেব ছানা, জুই চাকমা, সাইফুল ইসলাম, সাইফুদ্দীন তালুকদার, হালিমা খাতুন, আবু লাহাব সাইফুদ্দিন, ইমরান হোসেন, আবুল কালাম প্রমুখ।
সভার শুরুতে গীতিকার, সুরকার, মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলসহ প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন