শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টানা অসন্তোষের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে ঠাকুরগাঁও সীমান্তের জীবনপ্রবাহ

ঠাকুরগাঁও থেকে রুবাইয়া সুলতানা বাণী | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩৭ পিএম

১২ ফেব্রুয়ারি বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ফলে সীমান্ত এলাকায় টানা অসন্তোষের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে সীমান্তের জীবনপ্রবাহ । তবে কোনো কোনো স্কুলে আর আগের মতো উপস্থিতি নাই, অজানা ভীতি কাজ করছে অনেকের মাঝে, সাদা পোশাকে কিছু লোকজনের আনাগোনা গ্রামে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছে গ্রামবাসী কে কিন্তু এদের পরিচয় জানা যায়নি, বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক। আজ মানববন্ধন হওয়ার কথা থাকলেও অজানা কারণে স্থগিত হয়ে গেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী, এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম, জে আরিফ বেগ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান এমন কোন তথ্য তার কাছে নেই। বিষয় টা তিনি দেখবেন, তবে তিনি এটাও বলেন যে এলাকার পরিবেশ অনেকটা শান্ত । তদন্ত কার্যক্রম এর বর্তমান অবস্থা জানার জন্য তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নুর কুতুবুল আলম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনের কাজে তদন্ত কমিটির অনেকেই ব্যস্ত থাকায় কয়েকদিন এলাকায় গিয়ে স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি। আগামী শুক্রবার অথবা শনিবার থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এদিকে বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম তাঁর ঠাকুরগাঁও সফরকালে ঘোষিত উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির কাজ দ্রুতই শুরু হবে বলে জানান বিজিবি ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সামসুল আরেফিন জানান। 

বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, ঘটনায় বিজিবিসহ যারাই দায়ি থাকুক তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, সীমান্তে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর সবগুলো বিষয়ই বিবেচনাধীন , তবে সবার আঘে দরকার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। বিজিবি মহাপরিচালকের ইতিবাচক মনোভাবের কারণে এলাকায় ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসছে বলে জানান হরিপুরের সাংবাদিক কবিরুল ইসলাম।
সীমান্তে আবার আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং বিএসএফ’র হাতে সহ সীমান্তবাসীর মূল্যবান জীবন যেন কিছুতেই অপচয় না হয়, সেজন্য চোরাচালাননির্ভর অর্থনীতি নয় , সীমান্তে আর্থ-সামাজিক অবস্থান উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করছেন সীমান্তের শিক্ষিত ও আলোকপ্রাপ্ত মানুষরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন