বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনালি আসর

ছড়া

প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ভাল্লাগেনা
কামরুল আলম

আব্বুটাকে ভাল্লাগেনা
আব্বু কেবল বকে
বেঁধে রাখে আমাকে সে
পাঠ্যবইয়ের ছকে।
আম্মুটাও আগের মতো
আদর করে না যে
আমার পড়া বুঝিয়ে দিয়ে
থাকে নিজের কাজে।
আপুটাও ধমকে ওঠে
‘গাধা’ বলে ডাকে
আমার কিছুই ভাল্লাগেনা
দুঃখ বলি কাকে?


মিনহাজের দুষ্টুমি
ইয়াছিন খন্দকার লোভা

তিন বছরের ছোট্ট মিনহাজ
দুষ্টুমিতে সেরা
মায়ের আদর আর বাবার আদর
হাসিতে রোজ ঘেরা।
দাদী হলো বান্ধবী তার
নিত্য করে খেলা
দাদীর সাথে এদিক-ওদিক
ঘুরে সারাবেলা।
তিন টুকরো চাচু আছে
ফুফুরাও আছে তিন
সব মিলিয়ে মিনহাজের আজ
কাটছে সুখের দিন।

আমায় নিয়ে
ফজলে রাব্বী দ্বীন

সন্ধ্যাতারা ডাকে আমায় জোনাকজ্বলা দ্বীপে
দিনের ছড়া লিখবি কত আয় ঝলমল দ্বীপে।
সিন্ধু তীরের উদোম হাওয়া মন যে ভরে দেয়
ছলাৎ ছলাৎ স্বপ্ন জোয়ার বুকে টেনে নেয়;
জানলা খুলে তাকিয়ে দেখি ডাকছে আবার ভোর
উঠো গো উঠো, ঘুমোও কেন? দাওনা খুলে দোর।
ঘাসের ডগায় জমল শিশির কিচির মিচির পাখি
আমি এবার কুসুম বাগে কার যে ছবি আঁকি!
জুঁইয়ের মালা গলায় দিয়ে ঝিলের বাঁকে ছুটি
হাত বাড়ালেই ঝাপটে ধরে টেংরা, শিং আর পুঁটি।
দুপুর গড়ায় বিকেল আবার খেলার করে ছল,
রূপুর নূপুর দেয় পড়িয়ে ঘাসফড়িংয়ের দল।
আবার যখন সন্ধ্যা নামে রাত্রি দোলায় কেশ
হঠাৎ দেখি রংতুলি নেই ছড়ার মেলা শেষ।

খুকুমণির পাখি
জুলফিকার আলী

পটলচেরা দুটি আঁখি,
খুকুমণির একটি পাখি।
সেই আখিতে দেখতো পাখিতে
খুকুমণিকে রোজ,
সাথে কিছু সেলফিতে দেয়
নিত্যনতুন পোজ।
পাখির সাথে সেলফি দিত
আপডেট ফেসবুকে,
সেই কথাটা জানায় খুকু
তার সে মেজ বু’কে।
পাখির সাথে এভাবে তার
দিন যে কাটে বেশ,
থাক না খুকু পাখির কথা
বললে কি হয় শেষ?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
জুলফিকার আলী ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৪:৫০ এএম says : 0
ছড়াগুলো দারুণ|ধন্যবাদ বিভাগীয় সম্পাদক সাহেবকে|
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন