চা শিল্প অর্থনীতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পঞ্চগড়কে। এক সময় পাথরের অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিলো পঞ্চগড়। এখন চাষ হচ্ছে চা। বড় থেকে ক্ষুদ্র চা চাষ পঞ্চগড়ের উচু-নিচু সমতল ভূমি সবুজে ভরছে।
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলা এবং তেতুঁলিয়ায় চা বাগানে পরিপূর্ন উচু-নিচু সমতল ভূমি।
এর মধ্যে তেুঁলিয়ায় সবচেয়ে চা চাষ বেশী হচ্ছে। তারপর পঞ্চগড় সদর আটোয়ারী, দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলা। এমনটি জানিয়েছে পঞ্চগড়ের চা বোর্ডের কর্মকর্তাগণ।
চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে ইতোমধ্যে ২২টি চা কারখানা স্থাপিত হয়েছে। তারমধ্যে চা বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধিত ১২টি কারখানা। কারখানাগুলি কাঁচা পাতা ক্রয় করে চা উৎপাদন করছে। পরবর্তীতে সরকারি নিয়মে এ সব চা চিটাগাং শ্রীমঙ্গলে বিক্রি হয়।
পঞ্চগড় চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ২২শত ৬৫ হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। বড় চা বাগান (এস্টেট) রয়েছে ৮টি। এছাড়া চা বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধিত ক্ষূদ্র চা চাষী রয়েছে ৮১২ জন।
পঞ্চগড় চা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ে ২০১৮ সালে মোট চা উৎপাদন হয়েছে, ৮৪ দশমিক ৬৭ লাখ কেজি। যার র্বতমান মূল্য ২০৫ কোটি টাকা।
এছাড়া পঞ্চগড়ে ২০১৭ বছরের হিসাব অনুযায়ী মোট চা উৎপাদন হয়েছে ৫৪ দশমিক ৪৬ লাখ কেজি চা। যার বর্তমান মূল্যপ্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রতি কেজি কাঁচাপাতার দর ২২ টাকা ৫০ পয়সা। স্থানীয় কারখানায় এসব চা পাতা পৌঁছে দেয়ার কেরিং খরচ কারখানা কর্র্র্তৃপক্ষের।
পঞ্চগড় চা বোর্ডের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক শামীম আল মামুন বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৪ দশমিক ৪৬ লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে চা পাতা উৎপাদন হয়েছে ২৫ লাখ কেজি এবং২০১৬ সালে উৎপাদন হয়েছে ৩২ লাখ কেজি।
এদিকে পঞ্চগড় জেলায় দিন দিন চা চাষ বাড়ছে। জানা গেছে, পঞ্চগড়ে ২০০২ সালে চা চাষ শুরু হয়। অনেক চড়াই উৎরাই পার করে পঞ্চগড়ে চা চাষের প্রসারতা লাভ করছে। যা দিন দিন বাড়ছে।
পঞ্চগড় চা বোর্ডের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক শামীম আল মামুন বলেন, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সর্বশেষ চা দর নির্ধারন করা হয় ২৪ টাকা ৫০ পয়সা।
তবে চলতি মার্চ ১২ তারিখের পর আবারো চা পাতার মূল্য নির্ধারন করার জন্য মিটিং ডাকা হবে।
পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চা চাষী মোঃ জাহেদুল ইসলাম জানান, বর্তমান চা এর দর উর্দ্ধমূখী। সরকারিভাবে প্রতি কেজি চা পাতার দর ২২ টাকা ৫০ পয়সা ধরা হলেও এরপর বাজার উর্দ্ধমুখী ৩২ টাকা দরে চা পাতা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পর তা কমে গিয়ে ২২ টাকায় নেমেছে। কারন হিসেবে তিনি সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন।
এ বিষয়ে চা বোর্ডের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক শামীম আল মামুনের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এখন তো চা মৌসুম নয়। তাই দাম কম হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন