শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সাহিত্য

পদাবলি

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

জাফর পাঠান

বৈশাখী মাতন

মৃদঙ্গ বাজিয়ে মেতে উঠো আজ বৈশাখীর মাতনে
পেয়োনা ভয় অত্যাচারী ঐ কালবৈশাখীর যাতনে,
পৃথ্বীর বাঙ্গালীরা গাইবে আজ- বাঙলা জয়োগান
সপ্তরঙ গায়ে মেখে বঙ্গনারী- হবে ফুলো বাগান।

বীর্যবান পহেলা গ্রীষ্ম- পরবে ঋতুরাজের তাজ
ভয় করোনা বঙ্গ, ভয়াল মেঘেরা যদি ফেলে বাজ,
বৈশাখী মেলায় সাজবে আজ- বঙ্গ হাট-ঘাট-মাঠ
অবাকে দেখবে বিশ্ব- বাঙ্গালীর বাঙ্গালীয়ানা ঠাট।

ঊর্মির কল্লোলিত তালে- প্রকৃতি তুলবে রম্য তাল
ঋতুরাজের রসের হাঁড়ি ভেঙ্গে- হবে সব মাতাল,
বৈশাখী মাতনে- প্রকৃতি ও ধরণী- মত্ত উম্মাতাল
খুশির নব কল্লোলে সবাই- ভাগ্যের ধরবে হাল।

সুমন আহমেদ
নববর্ষের নতুন প্রভাতে

একটি ভোর- একটি নতুন বছর...
নতুনত্বের আহŸান- যেন শত জনমের আকাঙ্ক্ষা।
পুরোনো হিসেবের হালখাতা পরিশোধ-
আবারও বয়সের পাশে
যোগ হলো একটি বছর; একের পর
এক বয়সের পাল­ায় যেন
ওজন বেড়েই চলেছে নববর্ষের নতুন প্রভাতে।
বৈশাখী সাজ সেজেছে রমণী-
হাতে রেশমী চুরি,খোঁপায় বেলীফুল
গলায় পুঁতির মালা আর অঙ্গে জড়িয়ে
লাল-সাদা শাড়ি।
সব মান অভিমান ভুলে- পুরোনো সমস্ত
দ্বিধাদ্বন্দ্বের প্রাচীর ভেঙে
রমনার বটমূলে আবাল বৃদ্ধ বনিতার
এক মহা মিলন মেলা।

রোমানুর রোমান
স্বপ্নে দেখা

যখন তোমায় দেখার ইচ্ছা হয়,
দেখার জন্য বুকটা চৈত্র মাঠ
তখন তোমায় দেখি- স্বপ্নে দিনে রাতে
চকির ওপর পা ঝুলিয়ে আমার পাশে নির্জনে
বসে তুমি, আমিও বসে-
হাত রেখেছি সত্যে।

কখনও বা দেখি
রাস্তা দিয়ে হাটছি উভয়
তুমি রাস্তার এধারে
আর আমি রাস্তার ওধারে
তুমি ভীষণ লজ্জাবাদী,
তোমার সাথে থাকি যখন-
ভয়ে দেখ চারপাশটা চেয়ে।

হঠাৎ স্বপ্নে দেখি
কোথাও তুমি বান্ধবীদের সাথে
তখন তোমার ভাবটা এমন যে,
এই ছায়াটাকে!
অগোচরে সেই তুমিটাই এই ছেলেটার পাগল,
তাও ছেলেটা পায় না বলে স্বপ্নে দেখে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন