শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মাতামুহুরী নদী-ছড়া খালে বালু উত্তোলন অব্যাহত

হুমকির মুখে জনবসতি

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট ও ছড়া খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনরাত লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এসব বালু শত শত ড্রাস্পার ও ১০চাকার ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে প্রভাবশালী সিন্ডেকেট। মাতামুুহুরী নদীর দক্ষিণ পাশ ও ১নং ওয়ার্ডের আমান্ন্যারচর এলাকা এসব বালু ভর্তি ট্রাক যাচ্ছে নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাজে। এতে সরকার রাজস্ব না পেলেও ক্ষমতাধর এক ব্যক্তির পকেটে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় বর্তমানে ওই এলাকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। গত রোববার ডুলাহাজারা রংমহল এলাকায় বগাছড়ির ছড়াখালে বালু ও মাটি দস্যুদের সৃষ্ট গর্তের পানিতে পড়ে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন ওই বগাছড়ি খালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা ছড়াখালের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরো উপজেলায় একজন ক্ষমতাধন জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় অবৈধ বালু উৎসব চললেও পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ এতে বাঁধা দিচ্ছেনা। ফলে বালু উত্তোলনকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে গ্রামীণ অবকাঠামো ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। ছড়াখাল ও নদীর উভয় পার্শ্বে ঘরবাড়ি ভেঙে পাড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দিগরপানখালী, পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের হালকাকারা, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আমান্ন্যারচ, ৮নং ওয়ার্ড মাতামুহুরী ব্রিজের দক্ষিণ পাশসহ উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, চিরিঙ্গা, সাহারবিল, পূর্ব ও পশ্চিম বড় ভেওলাসহ অর্ধশত পয়েন্টে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ও ছড়া খালে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিবারাত্রি বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে এসব স্থানে বালু উত্তোলনের কারণে শতাধীক বাড়ি নদী ও ছড়াখালে বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এছাড়া গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ সড়ক গুলো ভেঙে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানা খন্দক ও গর্তের।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালককে স্ব স্ব এলাকার লোকজন অভিযোগ করলেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এখনও কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণকরা হয়নি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohi Uddin ১৭ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:২৬ এএম says : 0
মাতামুহুরী নদী জলুমের স্বীকার! উৎপত্তি স্হলে পাথর আর গাছ ধ্বংসের কারনে পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে অন্য দিকে মোহনায় মাছের ডিম ছাড়ার স্হানের প্যারাবন ধ্বংস করা হচ্ছে।। কোন কতৃপক্ষ নজর দিচ্ছে না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন