রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

এক কলসি পানি আনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার

পাহাড়ি পল্লীতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে কবির হোসেন | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

বৈশাখের প্রচণ্ড তাপে পাহাড়ি পল্লীগুলোতে চলছে সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট। এক কলসি পানি আনতে ঘন্টার পর ঘন্টার পার হয়ে যায়। কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি পল্লীগুলোতে দেখা দিয়েছে পানি সঙ্কট। বর্তমান শুস্ক মৌসুমে কাপ্তাই লেকের পানি, পাহাড়ি ঝর্ণা ও ক‚পগুলো শুকিয়ে পাহাড়ি পল্লীগুলোতে তীব্র পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। লেকে যখন পানি ছিল তখন সকল ধরনের কাজকর্ম ঐ পানি দিয়েই সাড়ানো হত। বর্তমানে পানি শূণ্যর কোটায় থাকার কারণে সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত লোকজন বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে ভুগছে। এক কলসি পানি আনতে প্রায় ২/৩ ঘন্টা লাগছে বলে এলাকার লোকজন প্রতিনিধিকে উল্লেখ করেন। এদিকে কাপ্তাই মারমাপাড়া, চাকুয়া, আগারপাড়া, হরিণ ছড়া, বারুদগুলাসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজন অভিযোগ করেন, সরকারিভাবে যে টিউবওয়েল দেয়া হয়েছে তা বছরের পর বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
তাঁতে কোন ধরনের পানি তো উঠে না এবং মেরামতও করা হয় না। এদিকে চাকুয়া পাড়ার মংসুউনু মারমা, হরিণ ছড়া ওয়াছিং চাকমা এবং কাপ্তাই মারমাপাড়া লাল ভাই বলেন, শুস্ক মৌসুম এলেই আমরা পানিতে কষ্ট পাই। সুপেয় এক কলসি পানি আমরা বহুদূর হতে খুঁজে আনতে প্রায় ২/৩ ঘন্টা সময় লাগে, তাও লাইন ধরে আনতে হয়। এখনও আমাদের পাহাড়ি পল্লীগুলোতে সুপেয় পানির কোন ব্যবস্থা নেই। এদিকে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি ডিবটিউবওয়েল থাকায় এক কলসি পানি আনতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন ধরতে হয়। ভোর ৪টা হতে রাত ১টা পর্যন্ত পানি নিতে দেখা যায়। কোন-কোন সময় পানি নিতে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্ঠি হচ্ছে হরহামেশা।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিটি পাহাড়ি পল্লীতে এবং এলাকায় প্রশাসন সুপেও পানির সমাধানের ব্যবস্থা করলে আগামীতে আর এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না। আর না হয় ময়লা, আর্বজনা ছড়া ও লেকের পানি খেয়ে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়তে হবে। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন