পবিত্র মাহে রমজানে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানির সঙ্কট চলছে। খাবার পানির পাশাপাশি গোসলসহ নিত্যব্যবহার্য পানির সঙ্কটে রোজাদাররা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। চট্টগ্রাম ওয়াসা যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করছে তা অপ্রতুল।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডের প্রতিদিন কোথাও কোথাও খাবার পানি সঙ্কট চলছে। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি এ তীব্র গরমে পানির সঙ্কটে রোজাদাররা নাকাল। এমনকি পানির দাবিতে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছে এলাকাবাসী। নগরীতে অনেক এলাকা রয়েছে কোথাও চারদিন কোথাও এক সপ্তাহ এবং কোথাও পনের দিন আবার কোথাও এক মাস ধরে পানি নেই।
রমজানের প্রথম দিন থেকে পানি পাচ্ছেন না নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দারা। পানির দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঈদগাহের রূপসা বেকারি মোড়ে বিক্ষোভ করেন তারা। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, রমজানের প্রথম দিন থেকেই মুন্সিপাড়া, মাদ্রাজ পাড়া, হাসান মাজার গলি ও বরফ কল এলাকায় পানি নেই। এ ব্যাপারে ওয়াসাকে জানানো হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে পানির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম এরশাদুল্লাহ খাবার পানির সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ওয়াসার কর্মকর্তারা পানি দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এদিকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানির সঙ্কটের কথা স্বীকার করলেও বলছেন অন্য কথা। পর্যাপ্ত পানি উৎপাদন হলেও পানির সরবরাহ করতে গেলে পুরনো পাইপ লাইন ফেটে যেতে পারে। চট্টগ্রামে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার হলেও ওয়াসা সরবরাহ দিতে পারে ৩৪ কোটি লিটার। তবে পাইপ লাইন পুরনো হওয়ায় পুরোদমে পানি সরবরাহ দেয়া যাচ্ছে না।
ফুল স্পীডে পানি সরবরাহ দেয়া হলে পাইপ লাইন ফেটে যায়। ফলে পাইপ লাইনে পানির চাপ কম থাকায় দূরবর্তী এবং অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় পানি পৌঁছায় না। এতে করে এসব এলাকার লোকজনকে তীব্র পানি সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সঙ্কট নিরসনে ওয়াসা রেশনিং করে এসব এলাকায় পানি দেয়ার চেষ্টা করলেও দুর্ভোগ কমছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন