সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে দিনে দিনে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। প্রতিদিন উত্তরের হিমেল বাতাসে কমতে শুরু করছে তাপমাত্রা। দিনের তুলনায় রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে যারা জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে বসবাস করে, তাদের সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, রাতসহ দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশার সাদা চাদরে ঢেকে থাকছে ঠাকুরগাঁও। সদর উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে একই অবস্থা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে এ এলাকায় কয়েক দিন ধরেই চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সপ্তাহ খানেক থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাটে যানবাহন লাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে। জেলাজুড়ে শীতের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও সন্ধ্যা নামার পর থেকে শীতের প্রকোপ আরও বাড়ছে। আর এ সময়ে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় নিম্ন আয়ের লোকজনকে রাস্তার পাশে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিশ^াষপুর গ্রামের ৬০ বছরের বৃদ্ধ মো. পাঞ্জাব আলী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে রাতদিন ঠান্ডা। কী করে যে পরিবার নিয়ে বাঁচব? আমার কোনো শীতের কাঁথা-কম্বল নেই, টাকাও নেই। কোনো জায়গা থেকে সহযোগিতাও পাই না। কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে সকালে কাজে যেতে প্রচন্ড কষ্ট পেতে হচ্ছে।’ শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য স্থানীয় নি¤œ আয়ের মানুষ দ্রুত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সহায়তা চেয়েছেন।
এদিকে শীতের এ সময়ে অসহায় মানুষের শীতের কষ্ট নিবারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত কম্বল সদর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ ফিরোজ জামান জুয়েল জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে দিন দিন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে আমাদের কর্তব্যরত ডাক্তারা সহ আমরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন