আর কয়েকদিন পর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। তাই ঈদকে ঘিরে চলছে দর্জি কারিগরদের মেশিনের অবিরত ঘড়ঘড় শব্দ। কর্মব্যস্ত নারী-পুরুষ একের পর এক সেলাই করে চলেছেন নতুন পোশাক। ঈদ সামনে রেখে ধনী-গরীব সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাদের নতুন পোশাকের সন্ধানে। আর তাদের চাহিদা যোগান দিতে গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দর্জিরা। ফ্যাশন সচেতন নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন নামীদামী টেইলার্সগুলোতে। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরিতে মেতে উঠেছেন তারা। কাজের চাপে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন দর্জিরা। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার দর্জি দোকানের কারিগররা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জোরারগঞ্জের শুভ টেইলার্স, বারইয়ারহাটের ফেমাস টেইলার্স, সেঞ্চুরি টেইলার্স, সবুজ টেইলার্স, মীরসরাইয়ের নিতুল টেইলার্স, প্রিয়াঙ্কা টেইলার্স, মিঠাছরার আলফা, সানমুন, মজুমদার টেইলার্স, আবুতোরাব বাজারের মোহনা টেইলার্স, স্টাল টেইলার্সের কারিগররা নারী-পুরুষদের পোশাক তৈরিতে চরম ব্যস্ত সময় পার করছে। তাই ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পছন্দের কাপড় তৈরিতে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মীরসরাই উপজেলার প্রায় ১ হাজার দর্জি।
জোরারগঞ্জে শুভ টেইলার্সের সত্ত্বাধীকারী সূর্য্য নাথ জানান, যারা একটু ভিন্ন ডিজাইন আর ফিটিং পোশাক পরতে পছন্দ করেন তারাই মূলত টেইলার্সে আসেন। শবে-বরাতের পর থেকে শুরু হয়েছে অর্ডার নেয়ার কাজ। এই কাজ চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। আর তাই দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের।
কারিগর মিলন, পলাশ, অভি, জীবন, রুবেল ও গিয়াস উদ্দিন জানান, বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে দুই ঈদকে ঘিরে গ্রাহকের কাপড় সেলাইয়ের জন্য দম ফেলার ফুসরত থাকেনা। এসময় আমাদের আয়ও বৃদ্ধি পায় এতে করে আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে সময় মতো কাপড় ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টা করি ।
ইসলামী ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা সানা উল্ল্যাহ নিজামী নামের একজন গ্রাহক জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি তৈরি করা শার্টপ্যান্ট পরেন। প্রতিবছর তিন থেকে চার সেট পোশাক বানাতে হয় তার। ব্যতিক্রম হয়নি এবারের ঈদেও। একটি শার্ট ও একটি প্যান্ট ৯০০ টাকা মজুরিতে সেলাই করিয়েছেন তিনি। তবে এবার মজুরি বেশি নিচ্ছেন দোকানীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন