ডাকসু নির্বাচনের আগে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের আন্ডারে মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি করার প্রতিবাদে ডিনের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা কালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে।আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এদের মধ্যে ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আসিফ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থীর চোখে আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন ডাকসুর এজিএস ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে হামলা হয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবি নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে স্মারকলিপি দিতে যান।
একই সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে যান ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার নেতাকর্মীরা। সেখোনে উভয় দলের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যোয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা হামলার অভিযোগ এনে বিচারের দাবিতে প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলেনর যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বলেন, আমরা ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করতে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা আমাদের উপর আগে থেকে হামলা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতরা সাদ্দামের অনুসারী।
অন্যদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন সংগীত বিভাগের আসিফ মাহমুদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওমর ফারুখ এবং ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মো. আরিফুর রহমান যুবরাজ। তারা সবাই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সাথে রাজনীতি করেন বলে জানিয়েছেন।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধা্রণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন