শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সাভারের গেন্ডায় দুর্ভোগের শেষ কোথায় ?

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:২৬ পিএম

ঢাকার সাভার পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক এখন অনেকটা চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিরুপায় বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধ এবং রোগীদের দুর্ভোগের চিএ অবর্ণনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বছরের পর বছর ধরে অচলাবস্থা চলে আসলেও মিলছে না প্রতিকার। সংস্কারের নানা রকম আশ্বাসবাণী মিললেও কবে এর কাজ শুরু হবে সে প্রশ্নের সদুত্তর নেই কারো কাছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গেন্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে আনন্দপুর-সাধাপুর-চাকুলিয়া সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এবং শত শত যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা উল্টে দুর্ঘটনা এই সড়কের নিত্যদিনের চিত্র। সন্ধ্যার পর এই সড়কে একান্ত বাধ্য হয়ে চলাচল করেন সাধারণ মানুষ।

রিক্সা চালকদের অভিযোগ, রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় পায়ে প্যাডেল চালিত রিক্সা এই সড়ক থেকে উঠে গেছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সার জন্য পৌরসভা থেকে প্রতি বছর অনেক টাকা দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। কিন্তু সফল মিলে না। প্রায় বাসাবাড়ির রাস্তার স্যুয়ারেজ লাইন রাস্তায় দেয়া হলেও নেই তদারকি। সারা বছরই সড়কে জলাবদ্ধতা থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পানি জমে থাকায় সড়কের গর্তে পড়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন।

এদিকে সড়কের অনেক অংশে পাইপ ড্রেন নির্মাণ কাজ করা হলে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। মানহীন কাজের কারনে উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে । ডাষ্টবিন সংকটে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুপে ভাগাড়ের রুপ নিয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কে ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। সাভারের বাইরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছেন বলে জানা যায়। এতে স্থানীয় ঠিকাদার সিন্ডিকেটের আঁতে ঘা লাগে। তারা কাজ বাগানোর চেষ্টা করেন বলে চাউর হলে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।

অন্যদিকে দরপত্র আহবানের খবর জানাজানির পর কয়েক মাসেও কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। অবশ্য সাভার উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বিদেশী একটি প্রকল্পের আওতায় এই সড়কের কাজের দরপত্র হয়েছে। তবে এখনো টাকা না মেলায় কার্যাদেশ হচ্ছে না। কয়েক মাসের মধ্যে টাকা মিললে কার্যাদেশ হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন