শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ওসমানীনগর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ধীরগতি!

বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে আবুল কালাম আজাদ | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবন নির্মান কাজের ধীর গতির কারণে প্রায় ১ বছরে মাত্র ১৬ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে হলেও গত প্রায় ১ বছরে ফাইলিংয়ের কাজও সম্পন্ন হয়নি। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এতে নানা সমস্যার সমঊকীন হচ্ছেন উপজেলার মানুষসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা।

জানা যায়, প্রায় ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নবগঠিত ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস বেঙ্গল নির্মাণ আর এস (জেবি)। অনুযায়ী গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়ে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফাইলিংয়ের কাজও সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বাসভবন নির্মাণেও। একই সময়ে প্রায় ১ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস ভবন নির্মাণের কাজটি পায় মের্সাস এস কন্সট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ফাইলিংয়ের কাজ শেষ করে বেস ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছে। ওয়ার্ক ওর্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলাধীন ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ওসমানীনগর থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ভাড়া করা বাসায় শুরু হয় নতুন উপজেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক কার্যক্রম।

কমপ্লেক্স নির্মাণকারী মের্সাস বেঙ্গল নির্মাণ আরএস (জেবি) প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঝড়, বৃষ্টি ও বর্ষার পানি থাকায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ অব্যাহত রাখলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন নির্মাণকারী মেসার্স এস কন্সট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারি শামীম আহমদ বলেন, অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে ফসলী জমি বুঝে পেতে বিলম্ব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। সম্প্রতি আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্মাণ কাজের মেয়াদ একবছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ তাহমিনা আক্তার বলেন, বিগত সময়ে কাজের ধীর গতির কারণে এখনো ফাইলিংয়ের কাজও শেষ হয়নি। নিজস্ব ভবনের অভাবে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ও জনবল সংকটের কারণে শান্তিপূর্ণ ভাবে কার্য সম্পাদনেও ব্যাঘাত ঘটছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন