পয়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পটুয়াখালীর গোটা উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার রাতভর বৃষ্টি না হলেও শনিবার সকাল থেকে মৃদু বাতাসের সাথে হালকা-মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার বিকালের মধ্যে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকাররত অধিকাংশ ট্রলার তীরে ফিরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। বৃষ্টিপাত এবং গুমট মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে মানুষের মাঝে এক ধরনের ঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মহাবিপদ সংকতে জারির পরে ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে। মানুষের সর্বোচ্চ সতর্কতাসহ নিরাপদ আশ্রয় এবং ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রচারনা চালানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শুক্রবার রাতে জরুরি পর্যালোচনা সভা করেছে পটুয়াখালী বিভাগীয় কমিশার ইয়ামিন আহম্মেদ চৌধুরী। এসসময় সরকারী দপ্তরের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পায়রা বন্দরের পন্য খালাস প্রক্রিয়া গতকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। বন্দর ও এর আশেপাশের বিভিন্ন চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কাজ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, পায়রার বন্দর সংলগ্ন উপকূলীয় এ অঞ্চলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকতে জারির পরে প্রশাসন এবং সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সাহাওতায় ঝুকিপূর্ন এবং বেরিবাধের বাইরে বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পটুয়াখালী জেলায় দূর্যোগাক্রান্তদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দূর্যোগ পরবর্তী জরুরী সহায়তার জন্য ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০০ মেট্রিকটন চাল, ৩৫০ বান্ডেল ঢেউটিন, ৩৫০০ পিচ কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া দূর্যোগ প্রস্তুতি, দূর্যোগ মোকাবেলায় এবং দূর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজ সহায়তার জন্য সকল সিপিপি সদস্য এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাবেকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন