শৈত্য প্রবাহের ধকল, মূল্য প্রপ্তির শঙ্কার মধ্যেও উত্তরে থেমে নেই চাষবাস। কৃষি উৎপাদনে অগ্রসর উত্তরের ৪ জেলা বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের জীবন সংগ্রামী চাষীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জীবন জীবিকা কৃষি উন্নয়নের সংগ্রাম। আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের পরপরই তারা শুরু করেছে আলু ও সরিষা আবাদের কার্যক্রম। চলছে বোরো আবাদের তোড় জোড় । বগুড়, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জকে নিয়ে গঠিত কৃষি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মওশুমে বগুড়া অঞ্চলে হাইব্রীড, উফশী এবং স্থানীয় জাত মিলিয়ে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ১শ’১৫ মেট্রিক টন ধান । এরই মধ্যে বোরো বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
জানতে চাইলে বগুড়া কৃষি অঞ্চল অফিসের কর্মকর্তা আজিজার রহমান বলেছেন , বগুড়ায় ৯ হাজার ৪শ’৪৮ হেক্টর, জয়পুর হাটে ২হাজার ৯শ ৯৫ হেক্টর,পাবনায় ৩ হাজার ১শ’ ৯৭ হেক্টর এবং সিরাজগঞ্জে ৭ হাজার৬ম ৩৫ হেক্টর মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ২শ ৭৫ হেক্টর জমির বীজতলা তৈরী হয়েছে । চলমান শৈত্য প্রবাহের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোথাও বোরো বীতলায় কোল্ড ইনজুরির খবর পাওয়া যায়নি। বোরোর পাশাপাশি বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে ৯৭ হাজার ৩শ’ ২৮ হেক্টরে আলু চাষের লক্ষ্য ধরা হয়েছে । ইতোমধ্যেই প্রায় শতভাগ অর্থাৎ ৯৬ হাজার ৮শ’১৫ হেক্টরে আলু আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
একই এলাকায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৩শ’ ২৩ হেক্টরে সরিষা চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে । ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৪শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হয়েছে ।
বগুড়ার অতিরিক্ত কৃষি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আ,ক,ম শাহরিয়ার জানান, বিরাজমান আব হাওয়ার বৈরীভাব কেটে গেলে এবং মাঘের শেষে প্রত্যশিত স্বাভাবিক বর্ষন হলে বগুড়া অঞ্চলে এবার বোরো , আলু ও সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ।
কৃষকরা জানিয়েছে, আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুক‚ল রয়েছে। তবে বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে কৃষি খাতকে রক্ষা করে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করলে কৃষিকে অবলম্বন করে দেশ স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন