রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

‘এ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৪৪ পিএম

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অস্বাভাবিক কম ভোট পড়া আমার কাছে স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত হতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তবচিত্র বললেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সব রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত আলোচনার টেবিলে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। তা না হলে অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে পা বাড়াবে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেন এই নির্বচান কমিশনার।’

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মাহাবুব তালুকদার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত যেভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে তাতে আচরণবিধি রাখা না রাখা সমান। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো যাচাইয়ের কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়নি। আচরণবিধি না মানা এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়া ফ্রি-স্টাইল নির্বাচনের মূল উপাদান।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কী? এই প্রশ্নের সামনে আমাদের দাঁড় করিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনবিমুখতা হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতার নামান্তর। এই নির্বাচনে ভোটের প্রতি জনগণের অনিহা দেখে মনে প্রশ্ন জাগে, জাতি কি ক্রমান্বয়ে গণতন্ত্রহীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? ভোটকেন্দ্রে বিরোধীপক্ষের দৃশ্যমান অনুপস্থিতি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রয়োজন, কোনো কোনো বিজ্ঞজন এমন মন্তব্য রেখেছেন। কিন্তু গণতন্ত্র আপন মহিমায় বিকশিত ও উদ্ভাসিত হতে পারে, যদি অবাঞ্ছিত উপায়ে তাকে বন্দি করা না হয়। নির্বাচন ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, সেই অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Md. Nurul Amin Chowdhury ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:৩৫ পিএম says : 0
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরক্ষণ থেকেই “লীগ নেতা”দের তান্ডব দেখেেই বুঝা গিয়েছিল, তারা কিভাবে কি করতে চায়। এবার ইভিএম এর উপর ভর করে “বাঙ্গালীীকে হাইকোর্ট দেখানো” হলো। প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের ভিতর-বাহির এক বিভীষিকাময় অবস্থা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা এতই ভীতিকর যে, ভোট কেন্দ্রের দিকে এগুতেই কেউ চাইবেনা। প্রতিপক্ষের ছিটেফোটাও দৃশ্যমান ছিলনা। আতংকের কারণে এলাকা ছাড়া। একই অবস্থা নির্বাচনপূবেই বিরাজমান ছিল। প্রতিপক্ষের একটা পোস্টার সাঁটারও কারো সাধ্যের মধ্যে ছিলনা। এতো কিছুর পরও যে পরিমান ভোট আদায় হয়েছে, তার সিংহভাগ ভোট অস্বচ্ছভাবে হয়েছে। সাধারন ভোটাররা এবারের ভোটের পরিসংখ্যান থেকে নিশ্চিত হয়েছে, এদের (বিজয়ীদের) প্রকৃত ভোটার সমর্থন সর্বোচ্চ ৮%/-১০% এর বেশী হবেনা।
Total Reply(0)
** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৪৯ পিএম says : 0
আসলে গনতন্ত্র আজ তার গতি পথ যেনো হারিয়ে ফেলছে।রাজনৈতিক দলগুলো গনতন্ত্রের চর্চাবিমুখ।কেউ ই তোয়াক্কা করছে না চর্চার।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন