অন্য আর দশটা শিশুর মতোই জন্ম হয়েছিল মেহেদি হাসানের। তবে নয় বছর বয়সে ধরা পড়ে সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। বয়সের তুলনায় তার ওজন অস্বাভাবিক। মেহেদী হাসানের বর্তমান বয়স ২২ বছর। ওজন ১৩০ কেজি।
তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সোনারগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম ওয়ালিউল্লাহ, মাতার নাম কুলসুম বেগম। তারা ভাই-বোন দুইজন। তার চিকিৎসায় প্রতি মাসে বর্তমানে সাত থেকে আট হাজার টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যয় বহন করা ক্ষমতা নেই তার দিনমজুর বাবার। তাই মেহেদির চিকিৎসায় বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন তার পরিবার।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর এম এ কাহার ২০১৪ সালে পরিক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, সে বাড়ডেল বিডেল সিনড্রোম ও চোখে রেটিনাইটিস পিগমেন্টোস রোগে আক্রান্ত। তার এ রোগ সুস্থ করতে দেশের বাইরে নিতে হবে। এছাড়া চোখের অপারশেন না করালে সে অন্ধ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রায় ৮ লাখ টাকা দরকার।
মেহেদীর বাবা ওয়ালিউল্লাহ একজন ফেরিওয়ালা। অভাব-অনটনে তাদের দিন চলে। তারপরও পরিবারের বড় ছেলে মেহেদী হাসানের ওষুধ কিনতে অনেক টাকা গুণতে হয়। নিয়মিত ওষুধ না খেলে মেহেদীর পায়ের গোড়ালি দিয়ে রক্ত ঝড়ে। মেহেদীর খাবার খরচও সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি। অন্য সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবারের ব্যয় বহন করতে তাই হিমিশিম খাচ্ছেন। সর্বশেষ ঢাকা মেডিক্যালে ২০১৮ সালে তাকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। পরবর্তীতে টাকার জন্য আর হসপিটালেও নিতে পারে নাই।
এমতাবস্থায় সমাজের দানশীল ধনবান হৃদয়বান মানুষের কাছে মেহেদীর নানা মো. আ. হালিম সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
মো. আ. হালিম
মোবাইল ০১৮২৬০১৩৫৮৩
বিকাশ ০১৮৩৪৩৫২৬৩২।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন