মংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বন্দরে অবস্থানরত সকল বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার শুক্রবার রাতের পালা থেকে শুরু হয়েছে । এদিকে ,ঘূর্ণিঝড় আম্পনে ক্ষতিগ্রস্থ দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফকর উদ্দিন জানিয়েছেন ,বন্দরে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতের পালা থেকে এবং শুক্রবার সকাল থেকে পুরোদমে সচল হয়েছে মংলা বন্দর ।
ঘূণিঝড় আম্পান ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপস্থি ছিলেন মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান,মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র মোঃ জুলফিকার আলী, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান, কাউন্সিলর তালুকদার আঃ কাদের প্রমুখ ।
মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ত্রাণ বিতরন শুরু হযেছে। যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন ১৫ শ পরিবারের মাঝে তাৎক্ষনিক ভাবে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এসময় তিনি দাবি করেন,এই ঝড়ে ১২৫টি ঘর সম্পুর্নভাবে বিধস্থ হযেছে ৫২৫টি ঘর আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । ১৫শ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং দেড় হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে। মংলাতে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি এবং কেউ আহত হয়নি। কানাইনগর এলাকায় একটি ভেড়ি বাধ আংশিক ভেঙ্গে ভিতরে পানি প্রবেশ করেছে । বহু মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে ঘেছে । তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের কাজ চলছে । ২/১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি জানা যাবে ।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান,আম্পানের তান্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন, লাউডোব, দুবলা , মরাপশুর ক্যাম্পের জেটি-ঘরবাড়ীসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন