কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের আট মাস পর মামলার প্রধান আসামী ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামে। অপহরনের দুইদিন পেড়িয়ে গেলে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে না পারায় ছাত্রীর পিতা (অটো চালক) বাদী হয়ে শনিবার (২২ আগষ্ট) উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ছাত্রীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল গ্রামের ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া (১৩) এক ছাত্রীকে প্রতিবেশি নুর আলমের পুত্র কলেজ পড়–য়া সোহেল রানা (২৩) জোর পূর্বক ধর্ষন করেন। এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারী ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২২)। এরপর থেকে সোহেল রানার পরিবার মামলা তুলে নেয়ার জন্য ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে চাপ ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
ঘটনার জের ধরে গত ২০ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী সোহেল রানা দলবল নিয়ে এসে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে পিতা ও দাদিকে মারধর করেন। এরপর ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করতে না পেরে শনিবার (২২ আগষ্ট) সোহেল রানাসহ নামীয় আট ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় অপহরনের মামলা দায়ের করেন।
ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষন মামলার আসামী সোহেল রানা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে তাকে আট মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সোহেল রানার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকে তারা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ আগষ্ট সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজনকে মারধর করে আমার শিশু কন্যাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। মেয়েকে উদ্ধার ও ন্যায় বিচারের আশায় পুনরায় উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
উলিপুর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন