ঢাকা-আমতলী-তালতলী মহাসড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতি ১০-২০ গজ দূরত্বে রয়েছে বড় বড় গর্ত। গর্তের কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এমনটাই আশঙ্কা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
মালবাহী ট্রাক, মাহেন্দ্রা, পিকআপের চলাচল কষ্টসাধ্য। এমনকি মানুষ চলাচলের জন্যও রাস্তাটি সম্পূর্ণ অনুপযোগী। মানুষ ভয়ে ভয়ে অটো, আলফা ও মোটরসাইকেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। রাস্তার মাঝে মাঝে এত বড় বড় গর্ত হয়েছে যে চলাচলের পথে সর্বদাই মালবাহী কিংবা যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে থাকে এবং যার ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে।
ঢাকা-আমতলী-তালতলী সড়কের মানিকঝুড়ি হইতে কচুপাত্রা ব্রিজ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যা দেখলে মনে হয় এটি একটি নদী। সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচলের একদমই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বরিশাল-তালতলী ও ঢাকা-তালতলী বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রী ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আমতলী-তালতলীর ফকিরহাট পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমতলী-তালতলীর অন্তত অর্ধলক্ষ লোক যাতায়াত করে। ২০১৯ সালে মানিকঝুড়ি বাজার থেকে কচুপাত্রা ব্রিজ পর্যন্ত ৮-১০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সড়ক সংস্কারের ১১ মাসের মাথায় ওই সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের গাফিলতিতে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় সড়ক এক বছরের মাথায় নদীতে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা ব্রিজ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক। সড়কের প্রতি ১০-২০ গজ দূরত্বে রয়েছে বড় বড় গর্ত। সড়কের ইট-পাথরের সুরকি বের হয়ে মাটি উঠে গেছে। বড় বড় গর্তে গাড়ির চাকা আটকে যাচ্ছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম বলেন, এটা সড়ক নয় যেন খাল। এর থেকে কাঁচা রাস্তাও অনেক ভালো। এ সড়ক দিয়ে গাড়ি ও মানুষ চলাচলে খুবই দুর্ভোগে পড়ে। প্রতিদিন দেখা যায় যেখানে সেখানে গাড়ি উল্টে পড়েছে। সড়কটি সংস্কারের আগে খুবই ভালো ছিল কিন্তু সংস্কারের পর এখন খুবই খারাপ অবস্থা। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো নজরই নেই। অতি দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানাই।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি আমতলীতে নতুন যোগদান করেছি। ইতোপূর্বে সড়কটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। সড়কটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন