সেলিম আহমেদ, সাভার : ঢাকার সাভার উপজেলার জিরানী-আমতলা সড়কের বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনে সংস্কার হয়নি। ফলে সড়কটি মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে নানান দূর্ঘটনা। অটোরিক্সা, রিক্সা উল্টে ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী দ্রæত সড়কটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
জিরানী-আমতলার জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীসহ কয়েক লাখ লোকের চলাচল। ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর জিরানী-আমতলা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করলেও কাজের শুরুতেই বিভিন্ন অনিয়ম দেখা যায়। পুরাতন ইট দিয়েই কাজ শুরু করে কর্মরত ঠিকাদার। তবে হঠাৎ করে সামনের কাজ বন্ধ করে কোনাপাড়া কলাবাগান থেকে কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে সড়কটির কলাবাগান থেকে টেঙ্গুরী এলাকার পূবালী সেন্ট্রাল ডিপো পর্যন্ত দুইকিলো কনক্রিটের ঢালাই শেষ হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও পূবালী সেন্ট্রাল ডিপো থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত সড়কের বাকী অংশের কাজ শুরু করেনি। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি রয়েই গেছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জিরানীর থেকে সড়কটির প্রবেশমুখে বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতাল। এ হাসপাতালে প্রতিদিনই অশংখ্য রোগী আসে সেবা নিতে। এছাড়া সড়কটির প্রবেশমুখে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। রয়েছে কয়েকটি পোশাক কারখানাও। অথচ সড়কটির এমনই অবস্থা যে যানবাহনতো দূরের কথা খালি পায়ে মানুষজনও চলাচল করতে পারছেনা। রাস্তাটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সেখানে প্রতিনিয়ত পানি জমে থাকছে। আর প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এসগকদিয়ে চলতে গিয়ে সুস্থ্য মানুষও অসুস্থ্য হয়ে পরছে।
গোহাইল বাড়ি এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, প্রতিদিনই কমবেশী এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারনে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে জিরানী-আমতলা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করলেও সড়কের প্রবেশ পথ জিরানী থেকে টেঙ্গুরী পুকুরপাড় পর্যন্ত রয়েছে আগের অবস্তাতেই। ফলে এ অংশটুকু মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। তিনি দ্রæত সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
রিকশা চালক আলতাফ হোসেন জানায়, এটি সড়ক নয়, পুকুর। রিকশায় যাত্রী নিয়ে আসতে গেলে প্রায়ই দূর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। কিন্তু কি করবো বলেন সংসার চালাতে হবেতো তাই শত কষ্ঠ হলেও এ সড়কটি দিয়ে রিক্সা চালাতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশা চালক জানায়, দু:খে মনে চায় রিকশা চালানো বাদ দিয়া নৌকা কিনে এ রাস্তায় নৌকা চালাই। বাংলাদেশের অন্য কোথাও মনে হয় এরকম রাস্তা আর একটি নেই। তিনি বলেন, কেন কি কারণে অল্প পরিমাণ এ সড়কটুকু সংস্কার করা হচ্ছে না তা জানি না। কবে এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো কিনা উল্টো প্রশ্ন করে তিনি।
সড়কটি দিয়ে চলাচলরত একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, সড়কটির বেহালদশার কারণে স্কুল-কলেজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে লেখাপড়ায় মারত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে। মাঝে মধ্যে রিকশা বা অটোরিকশা উল্টে গিয়ে দূর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। আবার রাস্তার প্রত্যেকটি স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে তাতে পানি জমে কাদায় পরিণত হয়েছ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন