মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ব্রিজ নয় মরণফাঁদ

মো. রফিকুল ইসলাম, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছে নাগেশ্বরীর ৮ গ্রামের মানুষ। চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পথচারীদের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি। বিগত ২ বছর ধরে ভেঙে পড়ে থাকায় অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়সহ ৮ গ্রামের মানুষকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে সুরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা দিয়ে নিচে পানি দেখা যায়। এছাড়াও মাঝখানে গর্ত আর পাশের রেলিং না থাকায় চলচলের সময় বুকটা কেঁপে ওঠে মৃত্যু ভয়ে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দিগদারী ভবানীপুর গ্রামের কাঠের ব্রিজ জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজটির ওপর দিয়ে পুসকুনিরপাড়, নাথেরভিটা, ডারার পাড়, ঝাকুয়াবাড়ী, ফান্দেরভিটা, নওয়ানার ভিটা, মেছপাড়া ও কেরানিয়ার গাঁসহ ৮ গ্রামের কয়েকশো মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। পারাপার হতে গিয়ে বিগত দিনে বহুবার অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

তাই দ্রæত এর কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে যে কোনো মুহূর্তে মরণফাঁদ নামের এই ব্রিজ পারাপারে জীবননাশের আসঙ্কা রয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় মনির হোসেন আনিছুর রহমান ও মফিজুল জানায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ৭ সেপ্টেম্বর এক পথচারী ব্রিজ পারাপারের সময় ভাঙ্গা দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় এবং ভিজে নষ্ট হয়ে যায় সাথে থাকা জমির দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র।

নিয়মিত পথচারী আইজার রহমান, সাহিদা ও মোসলেম অনেকটা আক্ষেপ করেই বলেন, কষ্টের কথা আর কী বলব ভাই। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই। আমরা প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে নিজ কর্মস্থলে যাই। শিক্ষার্থীরা যায় তাদের স্কুলে। ছোট বাচ্চারা ভয়ে যাতায়াত করতে পারে না। ছোট ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরা। দিনের বেলা যাতায়াত করা গেলেও রাতের অন্ধকারে চলতে ভয়ে বুকটা আঁৎকে ওঠে। এ ব্যাপারে ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাস খন্দকার বাচ্চু বলেন, ব্রিজটি দিয়ে শতশত মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। ব্রিজটি ভেঙে দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা অতিব জরুরি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কথা কলেছি। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি দ্রæত কাজ হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Harris Paul ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম says : 0
O My God.......... must be need Constructions. Haris Paul Matthew Paris.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন