সান্তাহার দমদমা গ্রামের রাস্তার দুপাশের অর্ধ শতাধিক মরা গাছ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সামান্য ঝড়বৃষ্টি বা দমকা হাওয়ায় গাছের ডাল এমনকি গাছও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব মরা গাছগুলো রাস্তার পাশে থাকায় যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারী। জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের তিনমাথা মোড় থেকে সান্তাহার সাইলো সড়ক পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তার দুপাশে শিশু, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা লাগানো হয়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে গাছগুলো বড় হতে খাকে। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রোগে প্রায় শতাধিক গাছের পাতা ঝরে পড়ে আস্তে আস্তে গাছগুলো মরে যায়। এমন অবস্থায় ঘুণ পোকা খেয়ে ফেলায় নড়বড় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে গাছগুলো। ফলে সামান্য ঝড়বৃষ্টি বা দমকা হাওয়া বাতাসে গাছের ডাল এমনকি গাছও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাস্তার পাশে থাকায় যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে চলাচল করছে উপজেলার দমদমা, প্রসাদখালী, কাসিমিল্লা, করজবাড়ি, রামপুরাসহ ১০/১২টি গ্রামের মানুষ। কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগে উপজেলা ও জেলা বন বিভাগের নিকট মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
বগুড়া সামাজি বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের যদি মরা গাছ থাকে অবশ্যই সেগুলো টেন্ডার দিয়ে অপসরণ করা হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আব্দুল আওয়াল বলেন স্থানীয় কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন