হাটহাজারী হতে সীতাকুন্ড ফকিরহাট পর্যন্ত সাগরকোটা ঢালা সড়কটি সংঙ্কার করা হলে দুই পার্বত্য জেলাসহ পার্শ্ববতী উপজেলার ২৮টি সড়কের ঢাকার যাত্রীদের অন্তত পক্ষে ৩ ঘণ্টা সময় কমে আসবে।
সড়কটি সংঙ্কার করা হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি- রাঙ্গামাটির সাথে সড়ক যোগাযোগ আরো সহজ হবে।
সীতাকুন্ড ফকিরহাট থেকে হাটহাজারী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক রয়েছে। সড়কটি সীতাকুন্ড ফকিরহাট বাজার হতে সোজা পূূর্ব দিকে হাটহাজারী পৌরসভার রংঙ্গীপাড়া সড়ক দিয়ে সীতাকুন্ড-নাজিরহাট-রামগড় ও খাগড়াছড়ি সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়।
সড়কটির প্রবেশদ্বার হাটহাজারী পৌরসভা এলাকার আনুমানিক ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক রয়েছে। অপরদিক থেকে সীতাকুন্ড অংশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ফকিরহাট সড়কটি আনুমানিক ৩ কিলোমিটার বিটুমিন যুক্ত কার্পেটিং সড়ক রয়েছে। হাটহাজারী ও সীতাকুন্ড দুই উপজেলার মাঝখানে সড়কটি প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার সড়কের কোন অস্থিত্ব না থাকায় সড়কটি যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
দুই পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়িসহ হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ার যাত্রীরা ঢাকায় যেতে চট্টগ্রাম মহানগরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। ঢাকায় চলাচলরত যাত্রী সাধারণের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট ও চাপ কমানোর জন্য রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়াসহ ২৮টি সড়কের যাত্রী হাটহাজারী সীতাকুন্ড সড়ক দিয়ে চলাচল করলে আনুমানিক ৩ ঘণ্টা সময় কমে আসবে। এই সড়কটি সংঙ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি, হাটহাজারী ও তার পার্শ¦বতী কয়েকটি উপজেলারসহ প্রায় ২৮টি সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রতি ঘণ্টা পর পর শত শত যাত্রী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আসা-যাওয়া করেন। হাটহাজারী সীতাকুন্ড সংযোগ সড়ক হিসেবে উক্ত সড়কটি ম্যাপে থাকলেও উভয় উপজেলার মাঝা মাঝি কিছু অংশ সড়কের অস্তিত্ব না থাকায় উক্ত সড়ক দিয়ে যান চলাচল করতে পারছে না। হাটহাজারী সীতাকুন্ড সড়কটি সংঙ্কার করতে এলাকাবাসী হাটহাজারী পৌর প্রশাসক ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহামুদ বরাবরে সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য আবেদন করেন। এসময় তিনি এলাকাবাসীকে হাটহাজারীর রংঙ্গীপাড়া দিয়ে সীতাকুন্ড ফকিরহাট সড়ক সম্পসারণের আশ্বাস দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন