সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আতাউস সামাদ ছিলেন সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তিনি ছিলেন সাংবাদিকতার মহীরুহ। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্রের খাঁটি সতর্ক প্রহরী। তিনি অন্যের দ্বারা প্রভাবিত বা আবেগ দ্বারা তাড়িত হতেন না। সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক বলতে যা বুঝায়, সেটিই ছিলেন আতাউস সামাদ। ঘটনার ভেতরের ঘটনা বের করে আনতে পারতেন। অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় তার কোন তুলনা ছিল না। তার কোনো প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক হয়নি, তিনি জীবনভর সুনাম বজায় রেখে সাংবাদিকতা করেছেন।
সাংবাদিক আতাউস সামাদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের আয়োজনে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় নেতৃবৃন্দ আতাউস সামাদের সৃত্মিচারণ করেন। আলোচনা শেষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বিএফইউজের সভাপতি রুহল আমীন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল আমীন রোকন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আতাউস সামাদ সাংবাদিকতায় বস্তনিষ্ঠতাকে সবচেয়ে বেশি মুল্য দিতেন। কোন বিষয়ে খটকা লাগলে তিনি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লিখতেন না। সব কিছু নিখুঁতভাবে করতে চাইতেন তিনি। কাজের ক্ষেত্রে তিনি শতভাগ সচেতন থাকতেন৷ তার অভিধানে ফাঁকিবাজি বলে কোন শব্দ ছিলনা। তাই তার সাংবাদিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে নি। সবার কাছে অন্য ধরণের গ্রহণযোগ্যতা ছিল তার। আতাউস সামাদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সামাদ ভাই বলতেন, গনতন্ত্র আছে, সাংবাদিকতা আছে; গনতন্ত্র নেই, সাংবাদিকতা নেই। এই দৃঢ় বিশ্বাস থেকে তিনি সবসময় গনতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন