চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজের নাজিম উদ্দিন গ্রামের মারধরের মামলায় আসামিগণ জামিন পাওয়া পুনঃরায় ফাঁসাতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করা হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ জানেনা নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি।
সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৭ মে হাজী আবুল কালাম মহাজন ও মো. বেল্লাল গংদের মাঝে মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজী আবুল কালাম মহাজন চরফ্যাশন থানায় মামলা করেন। ওই মামলা রিয়াজ, নিরব ও ফিরোজগংরা চরফ্যাশন জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে জামিনে আসে। এতে হাজী আবুল কালাম মহাজন গং ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ মে রাত আনুমানিক ৮টায় ঘটনায় দেখিয়ে পুত্রবধূকে বাদীনি বানিয়ে ভোলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল কমপ্লেইন পিটিশননং ২৩০/২০ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি স্থানীয় চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করতে নির্দেশ নিয়েছেন।
চরমাদ্রাজ ইউপির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জমাদার বীরমুক্তিযোদ্ধা ২০ সেপ্টেম্বর/২০২০ তারিখে চরঃ মাঃ ইউপি ১৪ স্মারকে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রদান করেন।
মারধর ও নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি ফিরোজ বলেন, আমাদের ৫জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই সময় বাদীনি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব উভয় পক্ষকে না জানিয়ে একতরফাভাবে আমাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রদান করেছেন।
চরনাজিম উদ্দিন গ্রামের আবু তাহের বলেন, মারধরের ঘটনা জানি আর কিছু আমরা জানিনা। স্থানীয় চরনাজিম উদ্দিন গ্রামের ইউপির সদস্য মো. হানিফ বলেন, মারধরের ঘটনাটি সত্য তবে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক। মামলার বাদীনি পক্ষের মো. বাচ্চু বলেন, বাদীনির কোলে ছোট শিশু তাই দেখা করা ও বক্তব্য নেয়া কষ্টকর।
এই ব্যাপারে চরমাদ্রাজ ইউপির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জমাদার বীরমুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমি দক্ষিণ চরনাজিম উদ্দিন গ্রামের ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে মারধরের ঘটনায় রক্ত দেখেছি। নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন