শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অবৈধ যানবাহনে সয়লাব নরসিংদী

প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ ও যানজটে নাকাল শহরবাসী

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নরসিংদীতে অবৈধ খোঁড়া প্রযুক্তির যানবাহন ও ইজিবাইকে সয়লাব হয়ে গেছে। শহরের রাস্তাঘাটে প্রতি মিনিটে কম বেশি পাঁচটি অবৈধ ও খোঁড়া প্রযুক্তির যানবাহন চলাচল করছে। ইজিবাইক চলছে অন্তত দশটি। এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে শ্যালো মেশিনের তৈরি ভ্যানগাড়ি, ভটভটি, কৃষি জমি চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত পাওয়ার টিলার, শ্যালো ইঞ্জিনের পিকআপ, মোটরচালিত বিভিন্ন ধরনের রিকশা, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি ত্রিচক্রযান, শ্যালো মেশিনের তৈরি ছোট ছোট বাস ইত্যাদি
জানা যায়, শ্যালো মেশিনের তৈরি ভ্যানগাড়িগুলো শহরের বাইরে থেকে বড় বড় গাছের কান্ড ও অতিবোঝাই মালামাল নিয়ে শহরে যাতায়াত করছে। যার ফলে পথিমধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অবৈধ যানবাহনের কারণে শহরের রাস্তাঘাটগুলোতে ১২ ঘণ্টাই যানজট লেগে থাকছে। যার কারণে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ। যানজট নিরসনে এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। শহরে প্রভাবশালী লোকদের নিয়োজিত ব্যক্তিরা চাঁদা আদায় করছে। শহরের রেলগেট, বাজীরমোড়, হেমেন্দ্রসার মোড়, পৌরসভার মোড়, পুরনো বাসস্ট্যান্ড, সদর হাসপাতাল এলাকা, ভেলানগর, হাজীপুর ব্রিজসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে কম বেশি অর্ধশত চাঁদাবাজ নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। এসব চাঁদাবাজরা শুধু অবৈধ ও খোঁড়া প্রযুক্তির যানবাহন থেকেই চাঁদা আদায় করছে না। এমনকি শহরে চলাচলকারী কয়েক হাজার ইজিবাইক থেকেও লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, নরসিংদী পৌর কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কমবেশি দেড় হাজার ইজিবাইককে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে আদায় করেছে ৫ হাজার টাকা করে। কিন্তু নরসিংদী শহরে বর্তমানে প্রতিদিন চলাচল করছে কম বেশি ৩ হাজার ইজিবাইক। এর সাথে রয়েছে আরো অন্তত সহস্রাধিক অবৈধ ও খোড়া প্রযুক্তির যানবাহন। অবৈধ ও খোড়া প্রযুক্তির যানবাহনগুলোর বিকট আওয়াজ শহরে পরিবেশে মারাত্মক শব্দ দূষণ ঘটাচ্ছে। কালো ধোঁয়া ছেড়ে বায়ু দূষণ করছে এসব যানবাহন। অন্ধকার করে দিচ্ছে রাস্তাঘাট। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের অস্তিত্ব থাকলেও এসব অবৈধ ও খোঁড়া প্রযুক্তির যানবাহন চলাচল বন্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে অবৈধ যানবাহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা শহরে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে যানবাহন চালায়। চাঁদা দিলে কেউ কিছু বলে না। সায়েম নামে একজন চালক জানান, তার বাহনটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। শহরে আসলে সে চাঁদা দেয়। যার কারণে কেউ তাকে কিছু বলে না।
এ ব্যাপারে নরসিংদীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা এসব অবৈধ যানবাহন ধরে জরিমানা করি। তারা জরিমানা দিয়ে চলে যায়। এসব যানবাহন ধ্বংস করে দেয়ার নির্দেশ না থাকায় আমরা এসবের বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন