শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ গেল দুইজনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে গতকাল সকালে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম শারমিন আক্তার শাওন (৩০)। তিনি জিএম বাবুল আহমেদের মেয়ে।

নিহতের ননদ লিপিকা করিম বলেন, ২০১৪ সালে বিয়ের পর থেকে আমার ভাবীর তিনবার বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। অল্পতেই তিনি খুব রেগে যেতেন। গত শনিবার ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে সাভারের বাসা থেকে আরামবাগের নিজ ফ্ল্যাটে চলে আসেন তিনি। এরপর রাতে আত্মহত্যা করেন তিনি।

নিহতের বাবা জিএম বাবুল আহমেদ বলেন, কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে জানি না। সে গত শনিবার সন্ধ্যায় সাভার থেকে একাই তার নিজের ফ্ল্যাটে চলে আসে। তবে আমি শুনেছি তার স্বামী অন্য কোথাও মোবাইলে কথা বলত। এ নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতে পারে।
মতিঝিল থানার এসআই মো. রাকিবুল আলম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় সেখান থেকে ঢামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, মেরুল বাড্ডার একটি বাসা থেকে জহিরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে পশ্চিম মেরুল বাড্ডার একটি বাসার সাততলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল মৃত জহিরুলের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, পুরান ঢাকার ওয়ারী জুগিনগর লেনের স্থানীয় বাসিন্দা তারা। জহিরুল অফিস ডিজাইনের কাজ করতেন। তার অফিস ছিল মেরুল বাড্ডায়। তার স্ত্রী এক বছর ধরে আমেরিকা থাকেন। গত বছর লকডাউনের পর থেকে জহিরুল অফিসেই থাকতেন। কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছুই জানা নেই। তবে শুনেছিলাম তার ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না।

জহিরুলের ম্যানেজার মাসুদ আলম জানান, ওয়ারিতে আমাদের একটি অফিসের ডিজাইনের কারখানা আছে। আমি সেখানেই থাকি। গত ৩০ মার্চ রাতে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তার জয়পুরহাট যাওয়ার কথা ছিল। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে বাড্ডার বাসার বাড়িওয়ালা ফোন দিয়ে বলেন তোমার বসের রুম থেকে কেমন যেন গন্ধ বের হচ্ছে। রাতে সেখানে গিয়ে দরজা খোলা দেখতে পাই। পরে তার আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশে খবর দিই। রুমের ভেতরে ঢুকে জহিরুল ইসলামকে ফ্যানের সঙ্গে চাদর দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।

বাড্ডা থানার এসআই রাকিবুল আলম সুরতহাল রিপোর্ট উল্লেখ করেন, সোমবার রাতে খবর পেয়ে পশ্চিম মেরুল বাড্ডার একটি বাসার সাততলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করি। এ সময় লাশটি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। লাশটি পচে-গলে গিয়েছে। নাক, মুখ ও কান দিয়ে পোকা বের হচ্ছিল। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ৩১ মার্চ সকাল ৮টার পর থেকে যেকোনো সময় জহিরুল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবুও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন