ফাঁকা চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট। ৮ দিনের লকডাউনের প্রথমদিন নগরজুড়ে মানুষের আনাগোনা তেমন নেই। একান্তই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নগরবাসী ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আজ বুধবার পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম রোজা। চলছে পহেলা বৈশাখের ছুটি। ফলে লোকজন তেমন রাস্তায় নেই। সড়কে রিকশা এবং কিছু ব্যক্তিগত যান চলাচল করছে। গণপরিবহন বন্ধ। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বসেছে চেকপোস্ট। তবে হাট বাজার খোলা রয়েছে। লোকজন প্রয়োজনীয় কেনা কাটা সারছেন। বিকেলে হোটেল রেস্তরাঁর ইফতার সামগ্রী বিক্রির প্রস্তুতি চলছে।
সচল রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরে মালামাল ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং চলছে। বন্দর এলাকায় আমদানি রফতানি পণ্য ও কনটেইনারবাহী ভারি যানবাহন চলাচল করছে। সচল বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর কার্যক্রম। কর্ণফুলীর বিভিন্ন ঘাটে পণ্য খালাস ও পরিবহন চলছে।
এদিকে চট্টগ্রাম থেকে চলমান কন্টেনার ও খাদ্যবাহী ট্রেনের পাশাপাশি চলছে বিশেষ পার্সেল ট্রেন। বিকেল ৩টায় ছাড়বে ট্রেনটি এবং সেটি সরিষাবাড়ী পৌঁছবে ভোর সাড়ে ৪টায়। সরিষাবাড়ী থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে ভোর সাড়ে ৫টায় এবং সেটি চট্টগ্রাম পৌঁছবে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে। এছাড়া অপর একটি ট্রেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সরিষাবাড়ী ও চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে পরিবাহিত পার্সেল মালামাল ভৈরববাজার ও আখাউড়া স্টেশনে ল্যাগেজ ভ্যান সংযোজন/বিয়োজনের মাধ্যমে গন্তব্যে প্রেরণ করা হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি নিয়মিত কন্টেইনার ও খাদ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে। আগে যেখানে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ঢাকায় যেতে ২৫ ঘণ্টা লাগতো, এখন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ১২ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। পাশাপাশি পার্সেল ট্রেনও চলাচল শুরু হচ্ছে। কৃষি পণ্যও পরিবহন করবে ট্রেনটি। সড়ক পথে কৃষিপণ্য সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। শাক সবজি ও ফলমূল নিয়ে নগরীতে আসছে ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন