ইন্দুরকানীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাজারসহ কয়েকটি গ্রাম অধিকাংশ প্লাবিত হয়েছে । ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দক্ষিণ অঞ্চল উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ে বাতাস প্রবাহিত। সেই সাথে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বাতাসের গতিবেগ আরও বাড়ছে। বাতাসের সাথে সাথে জোয়ারের পানি অতিরিক্ত বেড়ে যায় । ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বাজারসহ গ্রামের কাচা ঘর-বাড়ি, রবি শষ্য, ধানের বীজপাতা তলিয়ে যায়। এ ছাড়াও মৎস্য খামারগুলো তলিয়ে চাষের মাছ বের হয়ে যায়। যার ফলে আতঙ্কে রয়েছে চাষীরা । ইন্দুরকানী উপজেলার টগড়া, চাড়াখালী, কালাইয়া, সাঈদখালী, খোলপটুয়া, কলারণ সহ নদী তীরবর্তী এলাকায় বেড়ীবাধ না থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বেশী হলেই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে যায়। সাউদখালী এলাকার বাসিন্দা আলতাপ হোসেন, মোঃ মজনু, জানান, কয়েকবছর আগে এলাকায় বেড়ীবাধ করা হয়েছে। কাজের অনিয়মের কারনে বেড়ীবাধগুলো টিকে নাই। সামান্য পানির ¯্রােত হলেই বেড়ীবাধ ভেঙ্গে যায়। তারা আরও বলেন কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে আমরা এ দুর্যোগে ভুগতেছি। অতিরিক্ত পানিতে গুচ্ছগ্রাম, ইন্দুরকানী বাজার, চর-সাঈদখালী, পাড়েরহাট আবাসন ও চর-খোলপটুয়া এলাকার লোকজন বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টারে অবস্থান নিয়েছে। পাড়েরহাট ইউপি সদস্য মহাসিন জানান, অতিরিক্ত পনি হাওয়ায় পাড়েরহাট বন্দর বাজারটি সম্পূর্ণরুপে তলিয়ে রাস্তার উপরে ৩-৪ ফুট পানি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, শফিকুল ইসলাম জানান, আমরা ঘর্ণিঝড় ইয়াসের আভাস পাওয়ার সাথে সাথেই উপজেলার ১৯টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত করে রাখি। যাতে ঝুকিপূর্ণ এলাকার লোকদের জরুরী মুহুর্তে নিরাপদ আশ্রায় রাখা যায়। সেখানে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানায়, এই উপজেলায় শক্ত বেড়ীবাধ না দিলে প্লাবনের হাত থেকে এলাকার লোকজন রক্ষা করা সম্ভব না। আমি অনেকবার বেড়ীবাধ ও বাজার রক্ষা বাধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন করেছি। এ এলাকায় ত্রানের থেকে জরুবী হচ্ছে বেড়ীবাধ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন