ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার উপজেলার বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বেড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৯ গ্রাম। গতরাতে থেকে উপজেলা পরিষদ এলাকার বিষখালী তীরের বাঁধের একটি অংশ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে বাড়ির আঙিনায়। তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের। এতে আতংকে রয়েছেন বাঁধ ভাঙা এলাকার বাসিন্দারা।
পানিতে তলিয়ে গেছে কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঁঠালিয়া, পূর্ব কচুয়া, লতাবুনিয়া, রঘুয়ার দড়ির চর, সোনার বাংলা, আওরাবুনিয়া, জাঙ্গালিয়া, ছিটকীসহ বিষখালী নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের গ্রাম। এছাড়াও জেলা সদর, নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। রাতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে ছিলেন নদী তীরের মানুষ। এখনো আশ্রয়কেন্দ্র যাননি এসব এলাকার বাসিন্দারা। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাতহানার সম্বাবনা দেখা দিলে জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে পারেন স্থানীয়রা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ও দুইশ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৫৯টি সাইক্লোন সেল্টার ও ৪৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৩৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান বলেন, সকাল থেকে আমি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। কোথাও কোন সমস্যা নেই। তবে উপজেলা পরিষদের পেছনে বিষখালী নদীর তীরের বাঁধের কিছু অংশ ভেঙেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন